শিরোনাম
শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আগামী তিন বছরে দেশের প্রবৃদ্ধি হবে ১০ শতাংশ : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে গতিতে এগিয়ে চলেছে তা অব্যাহত থাকলে আগামী তিন বছরে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে ঠেকবে। জাপানভিত্তিক পত্রিকা নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ-কে দেওয়া এক ‘এক্সক্লুসিভ’ সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২৫ শতাংশে পৌঁছাবে। আর নির্বাচিত হলে সরকার যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তাতে ২০২১ সাল নাগাদ এই হার ১০ শতাংশে ঠেকবে। তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এদের মধ্যে ১১টি ইতিমধ্যেই চালু রয়েছে। আর ৭৯টির নির্মাণ কাজ চলছে। ক্ষমতায় এলে আগামী বছর দ্বিতীয় পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্ট তৈরির উদ্যোগ নেবে সরকার। এরই মধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দ্বিতীয় প্লান্ট স্থাপনের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে। নির্বাচনে রোহিঙ্গা সংকট কোনো ইস্যু হবে না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের উন্নয়নের বৃহত্তম অংশীদার জাপানের সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, যদি পুনর্নির্বাচিত হই, আমি আপনাদের বলতে চাই যে আমরা যে সব কর্মসূচি নেব, তাতে ২০২১ সাল নাগাদ প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত হবে। শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হচ্ছে।

প্রশিক্ষণ কাজে মেধাবীদের নিয়োগ দিতে হবে : প্রশিক্ষণ কাজে মেধাবীদের নিয়োগ দিতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসন ক্যাডারের নবীণ কর্মকর্তাদের সততা, নিষ্ঠা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির হাত থেকে সমাজকে মুক্ত রাখতে হবে। যে যখন যেখানে দায়িত্ব পালন করবেন এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। সূত্র : বাসস।

প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকালে রাজধানীর শাহবাগের সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমিতে ১০৭, ১০৮ ও ১০৯তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমি এমন জায়গায় দেশকে রেখে যাচ্ছি যেন বাংলাদেশকে আর পেছন ফিরে তাকাতে না হয়। সামনের দিকে যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে সে অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই যে দিক নির্দেশনাগুলো দিয়ে গেলাম সেগুলো অন্তত যদি অনুসরণ করা হয় তাহলে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের জন্য যেমন সুযোগ সৃষ্টি হবে, তেমনি দেশের মানুষের আরও উন্নত জীবন নিশ্চিত হবে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, দেশের অর্থনীতিটা একটা শক্ত ভীতের ওপর দাঁড়িয়েছে বলেই এগুলো করা সম্ভব হয়েছে।

সর্বশেষ খবর