বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আর্থিক খাতের শৃঙ্খলার জন্য সবার আগে বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। কেননা বাংলাদেশ ব্যাংক হচ্ছে আর্থিক খাতের প্রাণকেন্দ্র। এ জন্য এই প্রতিষ্ঠানটিতে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক দুই ধরনের হস্তক্ষেপই বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত. আর্থিক খাতে চলমান যে সংকট রয়েছে তা কাটাতে হলে রেগুলেটরি বডিগুলোকে ঠিকমতো কাজ করতে দিতে হবে। সমস্যাগুলো মোটামুটি চিহ্নিত, যা আমরাও জানি। ফলে এসব সমস্যা সমাধানে সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটাতে হবে।’ এসব বিষয়ে নির্বাচনী ইশতেহারে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা থাকতে হবে বলে মনে করেন তিনি। সাবেক এই গভর্নর মনে করেন, ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের হস্তক্ষেপও বন্ধ করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনাকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে শক্ত অবস্থানে থেকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যদিকে শেয়ারবাজার রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। বৃহৎ ঋণখেলাপি হিসেবে যারা চিহ্নিত তারা বেশ শক্তিশালী। ফলে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে। এ জন্য সব ধরনের প্রভাবমুক্ত হয়ে এ প্রতিষ্ঠানটিকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। নির্বাচনী ইশতেহারে এসব বিষয়ে পরিষ্কার ঘোষণা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।