বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভোটের হাওয়া সারাদেশে

প্রশাসন সরকারের পক্ষে কাজ করছে : মওদুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশন, সিভিল ও পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। গতকাল সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালী-৫ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘এটা কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। সারা দেশে যেটা ঘটছে সেটা আমার নির্বাচনী এলাকায়ও ঘটছে। সরকারি দলের ক্ষমতা এবং দাপট সর্বত্র। আজকে বাস্তব অবস্থা হলো নির্বাচন কমিশন, সিভিল ও পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’

সাবেক এই আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকাসহ সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা সারা দেশে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের সহায়তায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য কাজ করে চলেছে। অনুমতি থাকা সত্ত্বেও আমাকে কবিরহাটে নির্বাচনী সভায় না যেতে জেলা প্রশাসক ও এসপি টেলিফোনে বলেছেন, কবিরহাটে আমার যাওয়া ঠিক হবে না, আমি যেন না যাই। তাহলে এটা কী নির্বাচন? অর্থাৎ আমার মতো প্রার্থী নির্বাচনী সভা করতে না পেরে বাড়ি ফিরে আসে, এর অর্থ হলো এটা কোনো নির্বাচন হচ্ছে না।’ ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘সারা দেশে একই অবস্থা। সরকারি দলের ক্ষমতা-দাপট-পুলিশ-প্রশাসন সব কিছু আছে। কিন্তু মাঠে-ময়দানে তাদের কোনো ভোট নেই এবং ভোট নেই বলেই আজকে তাদের এই আচরণ। তারা জানে ৫০ শতাংশ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের খবর ৩০ ডিসেম্বর পাওয়া যাবে না। এই বাস্তবতা বুঝেই ক্ষমতাসীনরা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যজনক আচরণ অব্যাহত রাখবে। কোনো সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন আদৌ হবে কিনা সারা দেশের সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে এ প্রশ্নটি এখন প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে।’ নোয়াখালী-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ধরে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমি এই এলাকা থেকে পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছি। ২০১৪ সালে বিনা ভোটের নির্বাচিত, বিনা ভোটের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সব প্রটোকল নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় যান নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য। ৭-৮টা গাড়িসহ শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে ক্ষমতা এবং প্রভাব দেখিয়ে তিনি সর্বত্র ঘুরে বেড়ান। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে মাইক ব্যবহার করে তিনি বক্তব্য রাখেন। রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, পুলিশের এসপি ও ওসির কাছে বার বার অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। আমি লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে টেলিফোনে আলাপ করেছি। তাতে কোনো লাভ হয়নি। লিখিত অভিযোগের জবাব নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে পাইনি।’ সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয়  নেতা ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, নিলোফার চৌধুরী মনি, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর