শিরোনাম
শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আয়বৈষম্য কমানোর সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকতে হবে

ইব্রাহীম খালেদ

আয়বৈষম্য কমানোর সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকতে হবে

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেছেন, ‘উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে মানুষের আয়বৈষম্যের শীর্ষে বাংলাদেশ। আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিল আয়বৈষম্য কমানো। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরে তা বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার সামাজিক সুরক্ষা খাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু আয়বৈষম্য কমানো যায়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত নাগরিকের আয়বৈষম্য কমানোর উপায় ও নিজেদের করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া। নির্বাচন কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ইশতেহার ঘোষণা করছে। এতে নানা পদক্ষেপের কথা বলা হচ্ছে। এ পদক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।’

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এক সাক্ষাৎকারে ইব্রাহীম খালেদ আরও বলেন, ‘প্রান্তিক মানুষের আয় খুব কম আমাদের দেশে। বিপরীতে শীর্ষ অবস্থানে থাকা ব্যক্তিদের আয়ের পরিমাণ অনেক বেশি। প্রান্তিক মানুষের আয় বাড়ানোর সুযোগ রাষ্ট্রকে সৃষ্টি করতে হবে। দারিদ্র্য কমানো বা প্রবৃদ্ধির সুফল কোনোভাবে এসব প্রান্তিক মানুষ পায় না।’ তিনি বলেন, ‘আয়বৈষম্য সূচকের স্বাভাবিক পয়েন্ট ০.৩ শতাংশ, তা ০.৪ পর্যন্ত সহনশীল। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা ০.৫ শতাংশ। এটা উপমহাদেশের যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি। এটা কীভাবে সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা যাবে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তার ঘোষণা দেওয়া।’ ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও প্রান্তিক মানুষের আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তার সুফল পাওয়া যায়নি। অনেক মানুষ সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু প্রবৃদ্ধি সুবিধা দিতে আয় বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতে হবে। এ সুফল না দিতে পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে সুশাসন বা আইনের শাসনের ঘাটতি; যা আমরা দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ্য করছি। আইনের শাসনের উন্নতির কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখিনি। এখন                  দলগুলোর আইনের শাসনের বিষয়ে তাদের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ঘোষণা থাকা উচিত।’ তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার স্বপ্নের কথা বলা হয়। স্বাধীনতার স্বপ্ন হচ্ছে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র। অথচ দেশে বৈষম্য বেড়েই চলেছে। এটা যেভাবে হোক বন্ধ করতে হবে।’

সর্বশেষ খবর