শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভোটের হাওয়া

যমুনার চরে কেন্দ্র নেই, দুর্ভোগে ৮০০ ভোটার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর চরে ভোটকেন্দ্র না থাকায় প্রায় ৮০০ ভোটার দীর্ঘদিন ধরে ভোট প্রদানে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর ও ধুনট উপজেলা নিয়ে বগুড়া-৫ আসন গঠিত। ধুনট উপজেলার একটি ইউনিয়ন ভাণ্ডারবাড়ী। দীর্ঘদিন ধরে যমুনা নদীর ভাঙন ইউনিয়নবাসীকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। নদীর পূর্বদিকে জেগে ওঠা চরে বৈশাখী, বথুয়ারভিটা ও রাধানগর গ্রামে প্রায় ২ হাজার মানুষের বাস। এদের মধ্যে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৮০০ জন। অথচ এখানে দীর্ঘদিন ধরে নেই কোনো ভোট কেন্দ্র। যমুনা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত শিমুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিই চরবাসীর ভোটকেন্দ্র। স্বাধীনতার পর থেকে চরের বালু পায়ে মাড়িয়ে নৌকায় নদী পার হয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে হয়। ফলে বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষ পড়েন বিপদে। ছোট শিশু কোলে থাকা নারীরাও পড়েন বিপাকে। জেগে ওঠা এই চরের বাসিন্দারা বহুদিন ধরেই এলাকায় ভোটকেন্দ্রের দাবি জানিয়ে আসছেন। প্রতিবার ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয় না। বগুড়ার ধুনট উপজেলার যমুনা নদীর বৈশাখী চরের আসমত আলী (৭৭) বলেন, প্রতিবার ভোট আইলে সব নেতাই কয় চরে ভোটকেন্দ্র দিমু, কিন্তু পরে আর দেয় না।  ধুনট উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, যমুনা নদীর চরে একটি নিম্ন মাধ্যমিক ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটির মজবুত অবকাঠানো রয়েছে। তারপরও চরে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয় না। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক ভোটার দূরের কেন্দ্রে ভোট দিতে যায় না। দীর্ঘদিন ধরে চরে ভোটকেন্দ্রের দাবি করা হলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, চরটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নিরাপত্তাজনিত কারণে ভোটকেন্দ্র দেওয়া হয় না। তবে জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

সর্বশেষ খবর