শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সিলেট-২ আসনে নেই নৌকা ধানের শীষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেট-২ আসনে নেই নৌকা ধানের শীষ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে যেমন প্রার্থী নেই, তেমন বিএনপির প্রার্থীও নেই। কারণ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত হয়ে যাওয়ায় নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীক ছাড়াই এবার হতে যাচ্ছে সিলেট-২ আসনের নির্বাচন। আগে থেকেই এ আসনে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। ছেড়ে দিয়েছিল মহাজোটকে। আর ঐক্যফ্রন্ট থেকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয় সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ‘নিখোঁজ’ এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাকে। কিন্তু মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়ার করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে লুনার প্রার্থিতা স্থগিত করে আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে লুনা হাই কোর্টে আপিল করলে তাও গতকাল খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। ফলে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না ইলিয়াসপত্নী। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া এ আসনে প্রার্থী আছেন আরও নয়জন। তারা হলেন মহাজোটের জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব বর্তমান সংসদ সদস্য ইয়াহহিয়া চৌধুরী এহিয়া, ২০-দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের মো. মুনতাসির আলী, গণফোরামের মোকাব্বির খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমির উদ্দিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মনোয়ার হোসাইন, বিএনএফের মো. মোশাহিদ খান এবং স্বতন্ত্র মুহিবুর রহমান, অধ্যক্ষ এনামুল হক সরদার ও আবদুর রব মল্লিক। নির্বাচনে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে এবার আসনটিতে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী তাহসিনা রুশদীর লুনা ছিলেন অন্যদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে এম ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’ থাকায় এলাকার সাধারণ ভোটারদেরও দুর্বলতা ছিল তার প্রতি। কিন্তু শেষ সময়ে এসে লুনার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় কার কপাল খুলছে— সেটাই এখন সিলেটজুড়ে আলোচনার বিষয়। এদিকে নৌকা ও ধানের শীষ ছিটকে যাওয়ায় এই আসনের অন্তর্গত নির্বাচনী এলাকা ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথ উপজেলার দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভোটের আমেজে ভাটা পড়েছে। কেউ কেউ বিকল্প প্রার্থীদের পছন্দ করলেও বেশির ভাগ নেতা-কর্মী নিজেদের ভোটের মাঠ থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। এমনই একজন সিলেট মহানগর তাঁতীলীগের সদস্য আরশ আলী সুহেল তিনি ওসমানীনগর উপজেলার বাসিন্দা। নৌকা প্রতীকের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে তিনি মাঠে কাজ করছিলেন। কিন্তু সিলেট-২ আসনে নৌকা মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় তিনি এখন এলাকায়ই যাচ্ছেন না। তিনি সিলেট-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. এ কে এ মোমেনের পক্ষে সিলেট নগরীতে সময় দিচ্ছেন। অন্যদিকে ওসমানীনগর উপজেলার ছাত্রদল নেতা আকিক আহমদ চৌধুরীও বললেন একইরকম কথা। তিনিও চলে আসেন সিলেট শহরে। কাজ করছেন সিলেট-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের পক্ষে। এরকম আরও অনেক নেতা-কর্মী আছেন দুটি দলেই। যারা এলাকায়ই যেতে চাচ্ছেন না। নির্বাচনে ভোটও দিতে যাবেন না, এমনটিও বলেছেন কেউ কেউ। একটাই কারণ নির্বাচনে নৌকা-ধানের শীষ প্রতীক না থাকা। এদিকে বুধবার রাতে সিলেট-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে এই আসনে নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খানকে। তিনি উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর