শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের মহাজোট প্রার্থীর খবর নেই

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর-সদর আংশিক) আসনে মহাজোট প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ নোমান এমপি হঠাৎ উধাও! তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে উধাও হওয়ার আগে তার নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার একটি ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বত্র হৈ চৈ পড়ে ছিল। এদিকে এ ‘উধাও’ ঘটনার পর আপেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ ইসলাম পাপুলের দিকে ঝুঁকেছেন অধিকাংশ নেতা-কর্মী। গত দুই দিনে নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ধানের শীষ প্রতীকের আবুল খায়ের ভূঁইয়ার বিপরীতে আপেল প্রতীক বেছে নিয়েছে তৃণমূল।

জানা গেছে, ২০ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনে মহাজোটের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ নোমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন— এমন একটি পত্র ভাইরাল হয়। পত্রটিতে মোহাম্মদ নোমানের নামে স্বাক্ষর রয়েছে। পত্রটিতে উল্লেখ করা হয়েছে— ‘জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা, লক্ষ্য নির্ধারণে অনিশ্চয়তা, কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয় ও সিদ্ধান্তহীনতা এবং মহাজোটের স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে বহাল থাকা, নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংশয়, সন্দেহ, অবিশ্বাস ও বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া এবং লোভী, সুবিধাভোগীদের গোপন তৎপরতার কারণে ও কেন্দ্রীয় সহযোগিতা না পাওয়ায়’ নির্বাচন থেকে নিজেকে তিনি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। পত্রে বিষয়টিকে নির্বাচনী এলাকার জনগণকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানানো হয়। এ ঘটনার পর তার সমর্থক ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যার্থ হন। মুঠোফোনও বন্ধ পান তারা। খোঁজ নিতে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলাপের চেষ্টা করেন সবাই। কিন্তু কেউ বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নন। এদিকে রাতারাতি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে অধিকাংশ মানুষ। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে পাপুল সাধারণ মানুষের মন কেড়েছেন বলে দাবি করছেন ভক্তরা। ধানের শীষের সঙ্গে তার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মন্তব্য করেন অনেকে। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ও দলীয়ভাবে এখনো কোনো লিখিত পত্র পাইনি। কয়েকজন ফোন করে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন এবং পাপুলকে সমর্থন দেওয়ার কথা বলছেন। বিষয়টি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর