সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সতর্ক ছিল সারা দেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সতর্ক ছিল সারা দেশে

রাজধানীতে গতকাল সেনা টহল -জয়ীতা রায়

ভোটকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা সারা দেশে ছিল সর্বোচ্চ সতর্কতায়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দিনভর তাদের সন্দেহভাজন গাড়ি ও ব্যক্তিকে তল্লাশি অভিযান ছিল চোখে পড়ার মতো। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ছিল সারা দেশ।

বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল। ফলে সবাই শান্তিপূর্ণ, নির্ভয়ে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এমন তৎপরতায় খুশি জনসাধারণ। জানা গেছে, রাজধানীসহ সারা দেশে শঙ্কামুক্ত ভোটের মাঠ নিশ্চিত করতে ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সব ধরনের গুজব রুখতে সর্বোচ্চ সতর্ক ছিল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। গতকাল সকাল থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের তৎপরতা ছিল লক্ষণীয়। সিসিটিভির আওতায় ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্র। তারা রাজধানীর অলিতে-গলিতে টহল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ফলে ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে গিয়েছেন। ভোট দিয়েছেন। বাসায় ফিরেছেন।

আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ভোটের আগে, ভোটের দিন ও ভোটের পরে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সে জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠানের সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছিল। প্রস্তুত ছিল স্ট্রাইকিং ফোর্স। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেন্দ্রে গিয়ে গিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করেন। বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সুসমন্বয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

নির্বাচন নিয়ে র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, এবারের নির্বাচনের পরিবেশ খুব ভালো। দেশবাসী শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। যে দুই এক জায়গায় ঝামেলা হচ্ছিল সেসব কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে র‌্যাব সদস্যরা। নির্বাচনে সবকিছু আমাদের অনুকূলে ছিল। শনিবার রাতে দুটি ও রবিবার সকালে পাঁচটি ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা হয়েছে কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে। ভোটে একটি গোষ্ঠী আগুন ও পেট্রল দিয়ে সন্ত্রাস করে। এসব বিষয়ে আমরা সজাগ ছিলাম। দেশে কোনো সংঘাত হতে দেওয়া হবে না।

কোস্ট গার্ড মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী বলেন, উপকূলীয় এলাকায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে কোস্ট গার্ডের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হয়েছে, যা বাংলাদেশের ৪৭ বছরের এক অনন্য ইতিহাস। দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু স্বার্থান্বেষী, স্বাধীনতাবিরোধী ও দুষ্কৃতকারী চক্র নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালালেও দেশের সব স্থানে দায়িত্বরত সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরলস ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় তা দমন করা সম্ভব হয়েছে।

সর্বশেষ খবর