মঙ্গলবার, ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

হ্যাপি নিউ ইয়ার

মাহমুদ হাসান

হ্যাপি নিউ ইয়ার

কুয়াশার চাদরে মোড়ানো নিসর্গ। তারপরও ফুরফুরে মেজাজে বাংলাদেশ। ৩০ ডিসেম্বর ভোট উৎসবে মেতেছিল গোটা জাতি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হার-জিতের উত্তাপ আর বিষ্ময়কর ফলাফলের পোস্টমর্টেমের মধ্যে গতকাল বিদায় নিয়েছে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ। মধ্য রাত ১২টায় জিরো আওয়ারে একগুচ্ছ স্বপ্ন ও প্রত্যাশা নিয়ে এসেছে নতুন বছর। হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০১৯। নতুন সরকারের নবযাত্রার বছর হয়ে এসেছে ২০১৯। এ মুহূর্তে নতুন সরকারের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করবেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। এর পরপরই শপথ নেবে আওয়ামী লীগের নতুন মন্ত্রিসভা। নামে আওয়ামী লীগের হলেও এ মন্ত্রিসভায় যথারীতি ঠাঁই হবে মহাজোটের শরিকদের। ২০১৯-এর সরকার নতুন হলেও এর কা ারি পুরনো এবং পরীক্ষিত। তিনি জাতির পিতার মেয়ে, শেখ হাসিনা। আবারও নতুন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অভিজ্ঞ সরকারপ্রধান, বিশ্ব রাজনীতিতে অনন্য ইতিহাস গড়া এক সফল রাষ্ট্রনায়ক। তার নেতৃত্বে নির্বাচনে হ্যাটট্রিক করেছে আওয়ামী লীগ। তিনি হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ইতিহাসে টানা তৃতীয়বার এবং সব মিলিয়ে চতুর্থবার মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী। তার কর্তৃত্বে নতুন যে সরকার নবযাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সেই সরকারের নেতৃত্বেই জাতি আগামী বছর (২০২০) উদযাপন করবে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী।  নববর্ষ স্বপ্ন দেখার দিন। না পারা, না পাওয়া ভুলে নতুন স্বপ্নে নতুন আশায় বুক বাঁধার দিন। সেই স্বপ্ন সেই আশা নিয়ে গতকাল থার্টিফার্স্ট নাইটে বিশ্ববাসীর সঙ্গে বাংলাদেশও স্বাগত জানিয়েছে নতুন বছরকে। আজ ঘওে ঘরে, অফিস-আদালত, শিক্ষালয়ে, ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নতুন ক্যালেন্ডার টানিয়ে সূচনা করা হবে নতুন বছরের পথপরিক্রমা। ফুলের তোড়া, গ্রিটিংস কার্ড, ডায়েরি, প্রভৃতি উপহারের পাশাপাশি নানা আয়োজনে বরণ করা হচ্ছে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ। সংসদ নির্বাচন-উত্তর ২০১৯ হোক রাজনৈতিক সহিষ্ণুতার বছর, আইনের শাসন সুদৃঢ় করার বছর। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা নিরবচ্ছিন্ন থাকুক। জাতীয় নির্বাচনে দেশের মানুষ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ল্যান্ডস্লাইড ভিক্টরি এনে দিয়ে মূলত উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুণœ রাখার পক্ষে রায় দিয়েছেন। সরকারেরও ভুল হয়। নতুন বছরে সব ভুলভ্রান্তি শুধরে এগিয়ে যাবে নতুন সরকার ও জাতীয় রাজনীতি। সবার আশা, নতুন বছরে দেশের রাজনীতির রাশিচক্র ভালো যাবে। ২০১৯ সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিক। দেশের জন্য আরও অর্জন ও সাফল্যের বছর হোক। সুবাতাস বয়ে যাক চারদিকে। গুড লাক বাংলাদেশ। রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক দুই রাষ্ট্রপতি এ এইচ এম এরশাদ ও প্রফেসর এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং  জাতীয় নেতারা ইংরেজি নববর্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।  আজ পৌষের নরম রোদ্দুর সকালে নতুন ক্লাসের বই নিয়ে নির্মল আনন্দে ভাসবে স্কুল শিক্ষার্থীর দল।  তাদের মতো সারাটা বছর যেন হাসিখুশি থাকে বাংলাদেশ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর