বুধবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
ধারাবাহিকতায় স্বস্তি অর্থনীতিবিদদের

অর্থনৈতিক অঙ্গীকার দ্রুত বাস্তবায়ন চাই

-ড. আতিউর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থনৈতিক অঙ্গীকার দ্রুত বাস্তবায়ন চাই

বিশাল জয় নিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাওয়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে থাকা অর্থনৈতিক অঙ্গীকারসমূহের দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চান দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান। তিনি অর্থনৈতিক অঙ্গীকার পূরণে কিছু অগ্রাধিকার চিহ্নিতকরণের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ঋণখেলাপি কমাতে আইনি সংস্কার দরকার। ব্যাংক ক্র্যাফসি আইন ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি আইন প্রয়োগ করা দরকার। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ড. আতিউর রহমান। সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষার মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ করে দিয়েছে দেশের মানুষ। এখন চলমান বড় প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। এ অঞ্চল কেমন কার্যকর হচ্ছে, তা দেখে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা উৎসাহিত হবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, নতুন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি। এ ক্ষেত্রে নতুন সরকারকে কৃষির ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, কৃষিতে জোর দিলে কর্মসংস্থান বাড়ে এবং দারিদ্র্য কমে যায়। তাই নতুন সরকারকে কৃষিতে প্রণোদনা বাড়াতে হবে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে কৃষিতে ভর্তুকি দিতে হবে। উচ্চশিক্ষিতদের দক্ষতা বাড়ানোর মতো এ কাজগুলোতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রশাসনের সর্বস্তর প্রযুক্তিনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে। ড. আতিউর রহমান ইশতেহারের অর্থনৈতিক অঙ্গীকার দ্রুত বাস্তবায়ন চেয়ে বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। কুঋণ বন্ধের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংককে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্ষমতা তৈরি এবং এটিকে শক্তিশালী করতে হবে। বড় ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংককে দিতে হবে। এ ধরনের অর্থনৈতিক সংস্কার নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই অর্থনীতিবিদ।

সর্বশেষ খবর