পাবনায় জোড়া মাথা নিয়ে জন্ম নেওয়া রাবেয়া-রোকাইয়াকে চিকিৎসার জন্য হাঙ্গেরি নেওয়া হবে। সেখান থেকে ফেরার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের অধীনে চিকিৎসাধীন এই যমজ শিশুদের দেশেই অস্ত্রোপচার করার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাবেয়া-রোকাইয়াকে হাঙ্গেরি নেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। বলা হয়, হাঙ্গেরিতে রাবেয়া-রোকাইয়াকে তিন থেকে চার মাস থাকতে হতে পারে। সেখানে ‘ফর বাংলাদেশ’ নামে হাঙ্গেরিভিত্তিক একটি বাংলাদেশি সংগঠন শিশু দুটির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকবে। রাবেয়া-রোকাইয়াসহ ছয়জন রাতেই হাঙ্গেরির উদ্দেশে রওনা হবেন। সঙ্গে যাবেন বার্ন ইউনিটের ওদের চিকিৎসক হোসাইন ইমাম। শিশু দুটির বাবা রফিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাচ্চা দুটির জন্য সবার কাছে দোয়া চান। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ শিশু দুটির চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন। হাঙ্গেরিতে চিকিৎসার জন্য তার দেওয়া অনুদান শিশুদের মা-বাবার হাতে তুলে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাস্তব অর্থেই মানবতার নেত্রী। তিনি চিকিৎসক ও রাবেয়া-রোকাইয়ার বাবা-মাকেও ধন্যবাদ জানিয়ে ওদের চিকিৎসার সাফল্য কামনা করেন। এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান, বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির যৌথ উদ্যোগে রাবেয়া-রোকাইয়ার চিকিৎসা হবে। সেখানে হাঙ্গেরি, জার্মানি ও বাংলাদেশের পাঁচটি দলের ২০ সদস্য কাজ করবেন। তিনি জানান, রাবেয়া-রোকাইয়া যখন ভর্তি হয় বাংলাদেশে জার্মানি ও হাঙ্গেরির প্রতিনিধি দল ছিল। তখন থেকেই ওদের চিকিৎসার কার্যক্রম শুরু হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে শিশু দুটির অবস্থা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছানো হয়। তিনি শিশু দুটির চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ওদের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত, ফর বাংলাদেশের হাসনাত মিয়াসহ বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা।