শনিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

স্কুল ঘর বিক্রি করে দিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্কুল ঘর বিক্রি করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। নিলাম ছাড়া স্কুল ঘর ও স্কুলের গাছ বিক্রির বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দিয়েছেন।

এলাকাবাসী জানায়, ৬৩ নম্বর বিনোদপুর ঢালীকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পুরাতন স্কুল ঘরটি ভেঙে স্কুল মাঠে রাখা হয়েছিল। সঙ্গে ৩টি গাছ কেটে ১৭ টুকরা করে রাখে ঠিকাদারের লোকজন। স্কুলটি ভোট কেন্দ্র হওয়ায় সংসদ নির্বাচনের আগে স্কুল মাঠটি পরিষ্কার করার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নেয়ামত হোসেনের নিকট পরামর্শ চান স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম কাওসার। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সরেজমিনে গিয়ে গাছ ও স্কুল ঘরটি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মহিজ উদ্দিন আকনের নিকট ৩১ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মহিজ উদ্দিন আকন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নগদ ৩১ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিয়ে গাছ ও স্কুল ঘরটি নিয়ে যান। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসএম কাওসার বলেন, আমি স্কুলে যোগদানের আগেই নতুন ভবন নির্মাণের জন্য স্কুলের কয়েকটি গাছ ও পুরাতন ভবনটি ভেঙে মাঠে জড়ো করে রাখা ছিল। স্কুলটি ভোট কেন্দ্র হওয়ায় পালং থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শনে এসে মাঠ থেকে গাছ ও পুরাতন ভবনে রাখা মালামাল সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেন। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি গাছ ও মালামাল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মহিজ উদ্দিন আকনের নিকট ৩১ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। স্যারের নিকট টাকা দিয়ে সভাপতি গাছ ও ভবনের মালামাল নিয়ে গেছেন। কোনো নিলাম হয়েছে কিনা আমি জানি না। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মহিজ উদ্দিন আকন বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুলের পুরাতন ভবনের মালামাল ও ১৭ টুকরা গাছের ফালি আমার নিকট ৩১ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। আমি প্রধান শিক্ষক এস এম কাওসারের সামনে নগদ টাকা দিয়ে মালামাল বুঝে নিয়েছি। শরীয়তপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নেয়ামত হোসেন বলেন,  ঘরের মালামাল বিক্রয় করেছি বিষয়টি সত্য নয়। আমি এগুলো সভাপতিকে সরিয়ে রাখতে বলেছি। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিলাম ছাড়া যদি কেউ স্কুলের ভবন বা মালামাল বিক্রি করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান শেখ বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা বা স্কুলের প্রধান শিক্ষক কেউ এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর