রবিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

পরিত্যক্ত পুকুরে দেশি মাছ চাষ

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

পরিত্যক্ত পুকুরে দেশি মাছ চাষ

পরিত্যক্ত পুকুর খনন করে মাছ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন ২৫ জন যুবক। এখন তারা দেশি মাছ চাষ করে একদিকে যেমন লাভবান, অন্যদিকে আমিষের চাহিদা পূরণ করে হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশীয় মাছ। পাশাপাশি তারা পুকুর পাড়ে কলা, লাউ, শিমসহ নানান জাতের সবজি চাষ করে হচ্ছেন বাড়তি লাভবান। মৎস্য বিভাগ জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় এই পুকুর খনন কাজে সহায়তা করছে। এতে একদিকে বেকারত্ব দূর হচ্ছে অন্যদিকে আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে।

বোচাগঞ্জের আটগাঁও ইউপির জিনগাঁও গ্রামের ০.৫২ একরের ডুমুরিয়া পুকুরে চাষ হচ্ছে দেশীয় কার্প মিশ্র মাছ। সম্প্রতি পোনা ছাড়ে ওই এলাকার মিতালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির ২৫ সদস্য। আর এ পুকুরের মাছ বিক্রি করে আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা লাভ করতে পারবেন বলে জানান ওই সমিতির দলনেতা গোলাম মোস্তফা লিটন।

এরই মধ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের সফলতা দেখতে আসেন রংপুর মৎস্য অধিদফতরের উপপরিচালক শেখ মোহাম্মদ মেছবাহুল হক, রংপুর বিভাগের মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহা. আতাউর রহমান খান, জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আলীমুজ্জামান চৌধুরী।

মিতালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির দলনেতা মো. গোলাম মোস্তফা লিটন জানান, এই পুকুরটি একটি অসমতল মাঠের মতো ছিল। পরে এটাকে মৎস্য বিভাগের সহায়তায় খনন করে মাছ চাষ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মাছ চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। কিছুদিনের মধ্যে মাছ বিক্রি করা হবে। এখন পুকুরে প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ রয়েছে। পুকুর পাড়ে লাউ, শিম, কলা চাষ করা হচ্ছে। তা থেকেও বাড়তি লাভবান হওয়া যাবে। এতে আমরা লাভবান হব।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রেজাউল করিম বলেন, নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই সঙ্গে মাছে-ভাতে বাঙালি নামটিও মুছে যেতে বসেছে। আবার সেই ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’, নামটিকে ফিরিয়ে এনে আমিষের চাহিদা পূরণে এগিয়ে এসেছে বর্তমান সরকার। এ সময় জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আলীমুজ্জামান চৌধুরী জানান, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সরকার মাছের চাষ বৃদ্ধিতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

রংপুর বিভাগের মৎস্য অধিদফতরের উপপরিচালক শেখ মোহাম্মদ মেছবাহুল হক জানান, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি মানে দেশের উন্নয়ন। সারা দেশে ৫৩টি জেলায় ২২৯টি উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর