সোমবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

নতুন মন্ত্রীরা কে কী বললেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

যারা গতকাল মন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন তাদের কয়েকজনের সঙ্গে গত রাতে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জয়শ্রী ভাদুড়ী কথা বলেছেন। নিচে তাদের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো-

এ কে আবদুল মোমেন : দেশের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধিতে আমি সর্বোচ্চ দক্ষতা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করব। সবার সহযোগিতায় পররাষ্ট্রবিষয়ক সব সমস্যার সমাধান করতে চাই। আমাকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করায় দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন আমি অবশ্যই তার সম্মান রাখব। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আস্থার সঙ্গে পালন করব।

তাজুল ইসলাম : বাংলাদেশকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করব। দেশের সব জনগণকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই আমার উদ্দেশ্য। আমাকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করায় এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি সর্বোচ্চ মেধা ও শ্রম দিয়ে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব।

আ ক ম মোজাম্মেল হক : আগের মতোই নিষ্ঠার সঙ্গে মন্ত্রণালয় পরিচালনা করতে দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি। চেষ্টা করব দেশের সুনাম অক্ষুণœ রাখতে। আমাকে নির্বাচিত করায় দেশবাসী ও গাজীপুরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছাতে কাজ করব। সে জন্য নতুনভাবে কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়ার ইচ্ছা আমার আছে।

জাহিদ আহসান রাসেল : আমি এই মন্ত্রণালয়ে গত দুই মেয়াদে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার ওই দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। এ মন্ত্রণালয়ে আমার পূর্ব-অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি মনে করি এই নতুন দায়িত্ব পাওয়ার কৃতিত্ব আমার এলাকাবাসীর।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : মন্ত্রিসভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত নির্ধারিত সময়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন আমাদের মূল দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আমরা সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কাজ করব। ভালো কিছুর প্রত্যাশায় দেশবাসীর দোয়া চাই। 

এ কে এম এনামুল হক শামীম : বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন আমি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তা রক্ষা করার চেষ্টা করব। নেত্রী শুধু আমাকে উপমন্ত্রীই করেননি, তিনি জাকসুর ভিপি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক বানিয়েছেন। আমি নেত্রীর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। উন্নয়নের রূপকার বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী মাদার অব হিউম্যানিটি শেখ হাসিনা আমাকে যে নির্দেশনা দেবেন তা বাস্তবায়ন করাই আমার লক্ষ্য। তার নির্দেশে সারা দেশে যেভাবে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করেছিলাম এভাবেই আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে চাই।

মোস্তাফা জব্বার : গত ১০ বছরে দেশে ডিজিটাল রূপান্তরের যে ধারা তৈরি হয়েছে তা বজায় রাখতে কাজ করব। আগামী পাঁচ বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয় করে দেশকে এগিয়ে নেওয়া আমার দায়িত্ব। প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে বাংলাদেশকে সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যাশা রাখি।

শ ম রেজাউল করিম : এবার নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল একজন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীর ছেলেকে পরাজিত করা। পিরোজপুরবাসী আমাকে ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার সে সম্মান রেখেছেন। এখন আমাকে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া পিরোজপুরবাসী প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে গ্রহণ করবে। আমার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা রেখেছেন কাজের মাধ্যমে আমি তার সম্মান রাখতে চাই।

সর্বশেষ খবর