সোমবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

চাঁদা না পেয়ে মধুসিটির অফিসে হামলা ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঁদা না পেয়ে মধুসিটির অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত শনিবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের তারানগরে এ ঘটনা ঘটে।

সন্ত্রাসীদের হামলায় মধুসিটির দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তারা হলেন সোহাগ ও তুষার। তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, স্থানীয় দুবর্ৃৃত্ত ও চাঁদাবাজ সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে স্বনামধন্য মিলেনিয়াম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান মধুসিটি কর্তৃপক্ষের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। অন্যদিনের মতো শনিবার বিকালে সিদ্দিকের নেতৃত্বে ৮-৯ জনের একদল চাঁদাবাজ মধুসিটির কেরানীগঞ্জের তারানগর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়। তারা কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। এ সময় প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর শুরু হয় অকথ্য নির্যাতন। জানা গেছে, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে থাকা রাম দা, রডসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে চালানো হয় তা-ব। মধুসিটির কার্যালয়ের দরজা জানালার কাচ, ভিতরের আসবাবপত্র ভেঙে চুরমার করা হয়। দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করতে গেলে মধুসিটির দুই কর্মকর্তা সোহাগ ও তুষারের ওপর হামলা চালানো হয়।

মধুসিটি আবাসন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনাপরিচালক হাবিবুর রহমান জানান, ‘সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় মধুসিটি থেকে চাঁদা আদায় করত। তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। এ থেকে পরিত্রাণ চাই।’ মধুসিটি আবাসন প্রকল্পের চেয়ারম্যান হাজী মো. সলিম উল্যাহ বলেন, ‘সন্ত্রাসী সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তার ভয়ে আমরা তটস্থ থাকি। আমাদের কাছ থেকে  জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করেছে অনেক দিন ধরে। একপর্যায়ে তাকে চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সে আমাদের নানারকম হুমকি-ধমকি  দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার মধুসিটি আবাসন প্রকল্পের অফিসে কোরআন খতম ও মিলাদ মাহফিল চলছিল। বিকালে মদ্যপ অবস্থায় সিদ্দিক তার দলবল নিয়ে অফিসে ঢোকে। এরপর রাম দা দিয়ে অফিসের আসবাবপত্রে কোপাকুপি শুরু করে।’ তিনি বলেন, ‘সিদ্দিকের ভয়ে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। এখন ব্যবসা বাণিজ্য ভালো না। তার ওপর তাদের চাঁদা দিতে গেলে ব্যবসা বাণিজ্য গুটিয়ে চলে যেতে হবে। ব্যবসাবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে এমন চাঁদাবাজদের কারণে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। তাদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা উচিত।’

সর্বশেষ খবর