শিরোনাম
সোমবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

সুবর্ণচরে ধর্ষণের সঙ্গে ভোটের সম্পর্ক পায়নি মানবাধিকার কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে সুবর্ণচরে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটের কোনো সম্পর্ক খুঁজে পায়নি কমিটি। ধর্ষণের শিকার নারীকে গুরুতর আঘাত করা এবং তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। বরং ওই নারীর স্বামীর দায়ের করা এজাহারের ভাষ্য মতে, পূর্ব শত্রুতার জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার এজাহারে ওই নারীর ধানের শীষের নেতা-কর্মী-সমর্থক হওয়া, তার ধানের শীষে ভোট দেওয়া, আসামিরা নৌকা প্রতীকের নেতা-কর্মী-সমর্থক ও পোলিং এজেন্ট হওয়া, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে মারধর বা ধর্ষণের শিকার হওয়া, তা উল্লেখ নেই। বরং এজাহারে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, আসামিরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারধর ও ধর্ষণ করে। এ ছাড়া ওই নারী তদন্ত কমিটির সামনে দেওয়া জবানবন্দির কোথাও বলেননি যে, তিনি ধানের শীষে ভোট দিয়েছেন। তার স্বামীও এসব কথা বলেননি। স্বামী-স্ত্রীর জবানবন্দি থেকেই প্রতিবেদনের উপসংহার হিসেবে বলা হয়েছে, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেওয়া বা ভোট  দেওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বা আসামিরা আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়া বা আওয়ামী লীগের কোনো কর্মীর মাধ্যমে ওই নারীকে মারধর ও ধর্ষণের শিকার হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায় না।’ এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, কমিশনের তদন্ত কমিটি ধর্ষণ ও গুরুতর আঘাতের সঙ্গে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক আছে বলে প্রমাণ পায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ওই নারী যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তার সত্যতা মিলেছে। এ ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে যথাযথ তদন্ত করে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন। তবে ধর্ষণের শিকার ওই নারী ঘটনার পর থেকেই বলে আসছেন, ভোটের দিন ধানের শীষে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করেই তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন আসামিরা। ভোটের দিন রাতেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ খবর