মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
সাকরাইন উৎসব

শুভ্র আকাশ মাতোয়ারা রঙিন ঘুড়িতে

রাশেদ হোসাইন

শুভ্র আকাশ মাতোয়ারা রঙিন ঘুড়িতে

রঙিন ঘুড়িতে শুভ্র আকাশকে মাতোয়ারা করে পুরান ঢাকায় পালন করা হয়েছে সাকরাইন উৎসব। গতকাল ছিল পৌষ মাসকে বিদায় জানানোর দিন। তাই চিরায়ত ঐতিহ্য ও রীতিকে ধারণ করে সাকরাইন বা ঘুড়ি উৎসবে মেতেছিলেন সব বয়সী নাগরিকরা। দিনের নীলাকাশ ছিল শত-সহস্র্র রংবেরংয়ের ঘুড়িতে ঢাকা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এত ঘুড়ির ভিতর কোনো ঘুড়ি টালমাতাল হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছিল, কোনো ঘুড়ি দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল, কোনো ঘুড়ি দিগন্ত ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছিল। বাহারি নামের ঘুড়ি ছিল এ উৎসবে। নানান দামে মিলছিল এসব। লেঞ্জা ঘুড়ি, চাপালিশ, পঙ্খিরাজ, একরঙা ঘুড়ি বিক্রি হয়েছে ৮ থেকে ৫০ টাকায়। দাম উঠেছিল সুতোরও। ছোট বান্ডিলের দাম ছিল ৮০ টাকা,  আর বড় বান্ডিল ৪০০ টাকা। ঘুড়ি উৎসবে ছোট-বড় সবার অংশগ্রহণে মুখরিত ছিল প্রতিটি বাড়ির ছাদ। খোকা-খুকু থেকে শুরু করে বুড়া-বুড়ি পর্যন্ত মেতেছিলেন এ আনন্দ উৎসবে। সঙ্গে ছিল বাংলা গানের তালে তালে ডিজে। ভোর থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভবনের ছাদে ছাদে বেড়েছে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা, আর আকাশে বেড়েছে ঘুড়ির ঝাঁক। এই উৎসব চলেছে সন্ধ্যা অবধি। তারপর দিনের শেষে নেমে এসেছে অন্ধকার। কিন্তু থামেনি উৎসব। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই ঘুড়ির বদলে আকাশ ছেয়ে যেতে থাকে ফানুসে। সঙ্গে চলে আতশবাজি, আলোকসজ্জা, আর নাচ-গান। তখন আরেক জগতে চলে যায় পুরান ঢাকা। মধ্য রাত পর্যন্ত সূত্রাপুর, মিলব্যারাক, সদরঘাট, নবাবপুর, লালবাগ, চকবাজার, দয়াগঞ্জ, মুরগিটোলা, ধুপখোলা মাঠ, বংশাল, ওয়ারী, ইসলামপুর, শাঁখারীবাজার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, তাঁতীবাজার, রায়সাহেব বাজার এলাকার মানুষ  ঘটা করে এ উৎসব পালন করেন।

সর্বশেষ খবর