বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাজপথে শ্লীলতাহানি রক্ষা করল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের নারী নিরাপত্তাকর্মীকে রাজপথেই শ্লীলতাহানির চেষ্টা এবং মারধর করছিল এক বখাটে। পথচারীদের কেউ এই দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। কেউ কেউ দেখেও এড়িয়ে যান। ঠিক তখনই রাতের ডিউটির শেষপ্রান্তে টহলে ছিলেন ডিএমপির ক্যান্টনমেন্ট জোনের এসি তাপস কুমার দাস। ওই তরুণীর চিৎকার শুনে তিনি গাড়ি থামান। লক্ষ করে দেখেন এক নারীকে মারধর করছে কেউ। ওই নারী চিৎকার করছিলেন। তিনি গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে যান। পুলিশকে দেখে বখাটে যুবক আলমগীর দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তিনি জাপটে ধরে ফেলেন আলমগীরকে। উদ্ধার করেন নারীকে। এতে রক্ষা পায় সেই নারীর স¤্রম। তবে বখাটের টানা-হেঁচড়ায় রক্তাক্ত যখম হন ওই নারী। গতকাল ভোর ৬টায় রাজধানীর বনানী এলাকার আমতলী ক্রসিংয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ওই তরুণী।

এ সময় তাকে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বখাটে আলমগীর কুপ্রস্তাব দেয়। তরুণী বখাটের উদ্দেশে বলেন, ভাই এসব কী বলছেন। আপনি যা ভাবছেন আমি তেমন নারী নই। কিন্তু কোনো কথাই শুনছিল না আলমগীর। সে রাজপথেই তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। টানা-হেঁচড়া করে ওই তরুণীকে রক্তাক্ত যখম করে।

পুলিশ কর্মকর্তা তাপস কুমার দাস জানান, গুলশান বিভাগের ৬টি থানার নাইট রাউন্ডে ছিলাম। ভোরে আমতলী দিয়ে যাওয়ার সময় এক তরুণীর চিৎকার শুনতে পাই। দেখি এক যুবক ওই তরুণীকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে। তখন বডিগার্ড ও ড্রাইভারসহ আমি নেমে দৌড়ে আলমগীরকে ধরে ফেলি। ওই তরুণীর ঠোঁট দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তাকে দ্রুত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠাই।

এ ঘটনায় বনানী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আলমগীর ওই তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ও তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এসি তাপস তাকে উদ্ধার এবং আলমগীরকে গ্রেফতার করেন। সে কড়াইল বস্তিতে মাছের ব্যবসা করে। থাকে বস্তির বৌ-বাজারে। গ্রামের বাড়ি শেরপুরে।

সর্বশেষ খবর