শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

কবিরহাটে গণধর্ষণের আলামত মেলেনি!

আরও একজন গ্রেফতার

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষণের মামলায় জামাল উদ্দিন নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার মধ্যরাতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদন বুধবার অফিশিয়ালি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খলিল উল্লাহ্ কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হলেও পরে স্বীকার করেন, মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত মেলেনি। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান আসামি জাকির হোসেন ওরফে জহিরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, পুলিশের তদন্ত এবং মামলার প্রধান আসামি জাকির হোসেনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে জামালের নাম উঠে আসে। এরপর সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে ১৮ জানুয়ারি শুক্রবার মধ্যরাতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে তিন সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ অভিযোগ করেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় নির্যাতিতা নারী পরের দিন ১৯ জানুয়ারি শনিবার কবিরহাট থানায় জাকির হোসেন ওরফে জহির নামে একজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। যদিও ভিকটিমের দাবি, তিনি সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও পুলিশ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা নেয়। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিনই প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে। পরবর্তী সময়ে প্রধান আসামির তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ আরও চারজনকে গ্রেফতার করে।

সর্বশেষ খবর