রবিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

এমপির নির্বাচনী ভোজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

দুপুর ১২টা। দলে দলে মানুষ ছুটছে পদ্মা নদীর দিকে। কসবা মোড় থেকে ১ কিলোমিটারের কিছু বেশি, হাঁটা পথে গেলে চোখে পড়বে বিশাল বিশাল প্যান্ডেল। পদ্মার বুকে প্যান্ডেল বানিয়ে এক পাশে চলছে গান, অন্যদিকে ভোজ। দুপুর দেড়টার মধ্যে পুরো কসবার চর পরিপূর্ণ মানুষে।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের এমপি আয়েন উদ্দিনের ভোজসভার দৃশ্য ছিল এমনই। ভোজ আয়োজন ঘিরে এক সপ্তাহ ধরে পবা-মোহনপুরে চালানো হয় প্রচারণা। দলের ওয়ার্ড থেকে শুরু করে উপজেলার নেতারা ছিলেন আমন্ত্রিত। দুই উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভার গত সংসদ নির্বাচনে যারা কাজ করেছেন এমপির হয়ে তারা ছিলেন আমন্ত্রিত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেয় এ ভোজসভায়। বাদ যাননি প্রশাসনের কর্মকর্তারাও। ভোজ আয়োজন ঘিরে প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য দুটি করে মহিষ বরাদ্দ ছিল। তবে লোকসমাগম বেড়ে যাওয়ায় সেই বরাদ্দ বেড়ে হয় তিনটি। ভোজসভার জন্য মহিষ জবাই করা হয়েছে ৪০টি। চরে যেতে নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশের সেতু। টানানো হয়েছে রাজশাহীর অন্য আসনগুলো থেকে বিজয়ী এমপিদের ফেস্টুন। পবা উপজেলার হরিদাগাছী থেকে আসা জনাব আলী বলেন, ‘ভোটে এমপির হয়ে কাজ করেছিলাম। তাই এমপি দাওয়াত করে খাওয়াল।’ জাহানাবাদের সাগরিকা বলেন, ‘চরের মধ্যে এমন আয়োজনে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে। বালুর কারণে মানুষ খেতেও পারেনি। অনেকে না খেয়ে ফিরে গেছেন।’ মিলনমেলার নামে এ আয়োজনকে দলের কর্মীদের মূল্যায়ন হিসেবে দেখছেন এমপি আয়েন উদ্দিন। তিনি নিজে পুরো খরচ করেছেন জানিয়ে বলেন, ‘ভোটের সময় অনেকে খেতে চেয়েছিল। তাই সবাইকে নিয়ে একটু আনন্দ করলাম। একসঙ্গে এত মানুষকে পাওয়া যায় না। আমি আয়োজন করেছি। এতে অনেকে খুশি নন।’ তবে কত টাকা ব্যয় হয়েছে জানতে চাইলে তিনি তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর