শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

জিআই স্বীকৃতিতে খুশি আম চাষিরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, প্রতিনিধি

জিআই স্বীকৃতিতে খুশি আম চাষিরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় জেলার আম চাষি এবং ব্যবসায়ীরা দারুণ খুশি। কারণ এর ফলে অর্থনৈতিকভাবে তারা ব্যাপকভাবে লাভবান হবেন।

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এই সনদ পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জুড়ে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। ওয়াকিবহালরা বলছেন, আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতির ফলে এ আম   বাজারজাতকরণের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে বাণিজ্যিকসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যাবে। দেশ-বিদেশের ক্রেতারা এখন সহজেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের এ আম শনাক্ত করতে পারবেন। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ম্যাংগো প্রডিউসর মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে আম উৎপাদন হয়। কিন্তু  চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী অঞ্চলের আম প্রসিদ্ধ। এর কোনো ব্র্যান্ডিং ছিল না। অনেকেই ফজলী আম চিনলেও খিরসাপাত চিনতেন না। এর ফলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অন্য জেলার আম দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে খিরসাপাত বলে অধিক মূল্যে বাজারে চালিয়ে দিচ্ছিলেন। এতে ক্রেতা ভালো আম না পেলেও মূল্য বেশি দিয়ে আসছিলেন। আর আম চাষিরাও বেশি মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন।

 তাই এখন জিআই সনদ পাওয়ায় বাজারজাতের সময় আমের গায়ে ট্যাগ লাগানো থাকবে। ক্রেতারা আমটি চিনতে পারবে। এতে কেউ আর অন্য আম খিরসাপাত বলে বাজারে চালিয়ে দিতে পারবে না। চাষিরাও মূল্য পাবেন, আমের রাজ্যে কর্মসংস্থান বাড়বে।

ম্যাংগো ফাউন্ডেশন, শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদস্য সচিব আহসান হাবিব জিআই প্রসঙ্গে বলেন, জিআই সনদ পাওয়ায় খিরসাপাত আমের একটি ব্র্যান্ডিং হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে দেশের আমের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ হবে। কল্যাণপুর হর্টিকালচার সেন্টারের প্লাজম কর্মকর্তা কৃষি গবেষক জোহরুল ইসলাম জানান, মাঝারি আকারের খিরসাপাত আম অনেকটা ডিম্বাকৃতির। পাকা আমের রং সামান্য হলদে এবং শাস হলদে মতো হয়ে থাকে। আঁশবিহীন এই আম আকর্ষণীয় গন্ধ ও রসে ভরা। আমের মৌসুমেই বাজারে এই জাতের পাকা ফল পাওয়া যায়। তবে বাজারে এ জাতের আম হিমসাগর নামেও পরিচিত। তবে হিমসাগর আমটি পাকলেও একটু কালচে ভাব থাকে। আর স্বাদের ভিন্নতা আছে।

প্রসঙ্গত, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে প্রতিবছর ৩৫ হাজার মেট্রিক টন খিরসাপাত আম উৎপদন হয়।

সর্বশেষ খবর