শিরোনাম
বুধবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
কৃষি

বাণিজ্যিকভাবে সলুক চাষে সম্ভাবনা

ওলী আহম্মেদ, শেকৃবি

বাণিজ্যিকভাবে সলুক চাষে সম্ভাবনা

দেশে সলুক বা শলপা নামে পরিচিত, ইংরেজিতে ডিল। দেখতে হুবহু জিরার মতো; যার বৈজ্ঞানিক নাম Anethum graveolens। এর কচি পাতা ও কান্ডের নির্যাস, বীজনিঃসৃত তেল ভেষজ ও ইউনানী চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত একটি উপাদান। জিরার মতো সলুকের বীজও সুগন্ধ তৈরিতে নানা সুস্বাদু খাবারে এখন বেশ জনপ্রিয় একটি মসলা।

সম্প্রতি রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এমএস ফেলো হুমাযুন কবির তার গবেষণার অংশ হিসেবে ডিল বা সলুক নিয়ে গবেষণা করছেন। সংশ্লিষ্ট এই গবেষণার তত্ত্বাবধান করছেন শেকৃবি উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মো. সোলায়মান। হুমায়ুন কবির বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে ডিল চাষ হলেও শেকৃবিতে আমরাই প্রথম ডিল নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি। এর উৎপাদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত গোষ্ঠী একে জিরা বলে প্রচার করে প্রায় সময়ই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন এমনকি এর ব্যবহার সম্পর্কেও অনেকে অজ্ঞ। আমাদের গবেষণা অনুযায়ী দেশে এর ফলন বেশ ভালো হবে। উচ্চ পুষ্টিগুণ ও বহুল ব্যবহারের জন্যই ডিল নিয়ে আমরা গবেষণা করছি। অধিকতর গবেষণার দাবি রাখে এটি।’ গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ড. সোলায়মান বলেন, ‘বিগত দিনগুলোয় ডিল ও জিরা নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল তা এই গবেষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে। সেইসঙ্গে এর উচ্চ পুষ্টি ও ভেষজগুণ সম্পর্কে সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে এর বাণিজ্যিক চাষাবাদও সম্ভব হবে।’ তিনি আরও জানান, ‘ডিলের উজ্জ্বল রঙের ফলের প্রতি উপকারী পোকা আকৃষ্ট হয় বলে একই সঙ্গে মধু চাষও সম্ভব।  চলমান গবেষণায় আমরা এখন এর বীজের রাসায়নিক উপাদান নিয়ে বিশ্লেষণ করব; যা ডিল গবেষণায় এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।’

উল্লেখ্য, সলুকে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফসফরাস, রিবোফ্লাবিন, কোয়ারসিটিন ও নিয়াসিনের মতো অত্যন্ত কার্যকর উপাদান উপস্থিত থাকায় ক্যান্সার প্রতিরোধ, পেটের পীড়া ও অনিদ্রায় এটি খুব ভালো কাজ করে।

সর্বশেষ খবর