বুধবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

বাইক্কা বিলে পাখি শুমারি

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

বাইক্কা বিলে পাখি শুমারি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হাইল হাওরের বাইক্কা বিলে এ বছর ৩৯ প্রজাতির ১১ হাজার ৬১৫টি পাখির দেখা মিলেছে। এর মধ্যে ১৯ প্রজাতির পরিযায়ী আর ২০ প্রজাতির দেশীয় জলচর পাখি। এশিয়ান ওয়াটার বার্ড সেনসাসের অধীনে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব গত ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি বাইক্কা বিলে পাখি শুমারির এ তথ্য জানায়। পাখি গণনাকারী ড. পল থম্পসন জানান, এ বছর বাইক্কা বিলে খয়রা কাস্তেচরা নামের পরিযায়ী জলচর পাখি বেশি এসেছে। যা আর কোনো সময় আসেনি। এ জাতীয় ২৮৮টি পাখির দেখা মেলে। বাইক্কা বিলে এবার এই পাখিটির সংখ্যাই সবচেয়ে  বেশি। এ ছাড়া গেওয়ালা বাটান পাখি এসেছে ২ হাজার ২৮০টি, পাতি তিলি হাঁস ২ হাজার ২২০টি, উত্তরে ল্যাঞ্জা হাঁস ৯২১টি, রাজ সরালি ৩৯৮টি, পাতি সরালি ৮৬০টি। এর মধ্যে পৃথিবীজুড়ে বিপন্ন ৫ প্রজাতি বড়গুটি ঈগল, পালসি কুড়া ঈগল, উদয়ী গয়ার, কালা মাথা কাস্তেচরা ও মরচেং ভূতিহাঁস পাখির দেখা মিলেছে। পল থম্পসন বলেন, পরিযায়ী পাখিরা আসার আগে আবাসস্থলটি নিরাপদ কিনা সেটি বিবেচনায় রাখে। পাখি যখন আসে তখন জলাভূমিতে মাছ ধরার মৌসুম। বাইক্কা বিল অভয়াশ্রমের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করা হয়। যেমন হিজল করচের বাগানে গাছ লাগানো, খনন কাজ। তখন মানুষের আনাগোনা বেড়ে যায়। তাই শিকার হয়ে যাওয়ার ভয়ে পাখিরা আসে না।  কাজ শেষ হওয়ার পর পাখিরা আসে।

সর্বশেষ খবর