শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

বুড়িগঙ্গা-কর্ণফুলীতে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার বুড়িগঙ্গা ও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীরে যথাক্রমে ২৯০ ও ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের কামালবাগ ও লোহারপুল ছাতা মসজিদ এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর অভিযানে পাকা ও আধাপাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দোতলা ভবন তিনটি, একতলা বাড়ি সাতটি, আধাপাকা ঘর ২৩টি এবং টিন ও টংঘর ২৫৭টি। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। ২৯ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযানে ১ হাজার ১৯৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সকালে লালবাগের কিল্লারমোড় শ্মশানঘাট এলাকায় রমিউদ্দিন মিয়ার মালিকানা প্লাস্টিকের গুদামঘর উচ্ছেদের মাধ্যমে অভিযান শুরু হয়। এরপর অভিযানকারীরা ৫৬/৮ রাজ নারায়ণ ধর রোডের রশিদ মাইজভান্ডারির মালিকানাধীন আশেকান মাইজভান্ডারি অ্যাসোসিয়েশনের পাকা স্থাপনা চারটি ঘর ও রহিম চিশতীর মালিকানাধীন খানকা শরিফের চারটি টিনশেডের টংঘর উচ্ছেদ করে। এছাড়া কামরাঙ্গীরচরের লোহার সেতু সংলগ্ন রহমান প্লাজার পাকা স্থাপনার ছয়টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিআইডব্লিউটিএ দখলদারদের বিতাড়িত করার পরিকল্পনা নিয়ে নদী উদ্ধারে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাচ্ছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।

কর্ণফুলীর ৩০ স্থাপনা উচ্ছেদ : কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা উচ্ছেদ অভিযানের চতুর্থ দিনে ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে মাঝিরঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। চার দিনে ১৭০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম। এ সময় র‌্যাব ও পুলিশের শতাধিক সদস্য, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য এবং ১০০ শ্রমিক অংশ নেন।

সর্বশেষ খবর