জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। এসব এলাকার চাষিরা ভুট্টা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। ফলে দিন দিন ভুট্টা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। উপজেলার জোড়খালী ইউনিয়নের গোলাবাড়ি, খামারমাগুড়া, হাটমাগুড়া, কাইজার চর, চরকয়ড়া; বালিজুড়ী ইউনিয়নের শুভগাছা, আঠাত্তোর চর, নাদাগাড়ী, মির্জাপুর, ফুলজোড়; চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর, পাকরুল, চরপাকেরদহ, হিদাগাড়ী গ্রামে রেকর্ড পরিমাণ ভুট্টা চাষ হয়েছে। দক্ষিণ ফুলজোড় গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম বলেন, একবিঘা জমিতে হালচাষ, বীজ, সেচ, সার, কীটনাশক, শ্রমিক ও মাড়াই বাবদ খরচ হয় ১০ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ভুট্টা চাষ হয় ৩৫-৪০ মণ। প্রতি মণ ভুট্টা বিক্রি হয় ৮০০-৮৫০ টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ বাদ দিয়ে লাভ হয় ২০-২২ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর আহমেদ জানান, আগে ভুট্টামাড়াইয়ের যন্ত্র পর্যাপ্ত ছিল না। এখন ভুট্টামাড়াই যন্ত্র এত বেড়েছে যে কৃষকের ঘরের দরজায় নাড়া দেয়। এ কারণে এ উপজেলায় এবার ৮শ’ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। যা গত দুই বছর আগের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। ভুট্টা সব ধরনের জমিতে চাষ করা যায়। দাম ভালো পাওয়ায় কৃষক ভুট্টাচাষে ঝুঁকছে। তিনি আরও বলেন, ভুট্টা আবাদের ফলে দিন দিন গমের আবাদ একেবারেই কমে গেছে। কারণ গমের চেয়ে ভুট্টার ফলন ভালো।
পাকরুল চরের কৃষক লেবু মিয়া জানান, শুধু ভুট্টা বিক্রি নয়, ভুট্টা গাছের পাতা উত্তম গো খাদ্য, কা জ্বালানি ও ঝরে যাওয়া পাতা জৈবসার হিসেবে ব্যবহার হয়। ভুট্টা আবাদে পরিশ্রমও কম।