শিরোনাম
শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

টঙ্গীতে দুই পক্ষের ময়দান ত্যাগ, জিকিরে জিকিরে স্বেচ্ছাশ্রম

আফজাল, টঙ্গী

ফজরের নামাজ শেষে গতকাল টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের দিকে বাসে রওনা হন ঢাকার যাত্রাবাড়ী শনির আখড়া ৪০৭নং হালকার প্রায় ২শ মুসল্লি। সকাল ৯টায় ময়দানে উপস্থিত হয়ে নেমে পড়েন ময়দান প্রস্তুতের কাজে। জিকির-আজগারে আল্লাহকে রাজি করতে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত স্বেচ্ছায় শ্রম দিচ্ছেন হাজার হাজার মুসল্লি। যাত্রাবাড়ী থেকে আগত মুসল্লি আ. খালেক বলেন, আল্লাহ সহায় হলে ইজতেমা শুরুর আগেই ময়দান প্রস্তুত হবে। ময়দানে কাজের এক জিম্মাদার ফকির আতাউর রহমান বলেন,  হাজার হাজার সাথী সকাল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবরার থেকে বয়ান শুরু হবে। এরপর শনিবার আসরের নামাজের আগে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন রবিবার ফজরের নামাজের পর ময়দানে প্রবেশ করতে শুরু করবে সা’দ অনুসারীরা। তারা সোমবার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। আখেরি মোনাজাত শেষে উভয় পক্ষকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ময়দান ত্যাগ করতে হবে। টঙ্গী তুরাগ নদের তীরে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা। আনুষ্ঠানিকভাবে আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। ৪ দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দুই দিন ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি জোবায়ের অনুসারীরা কার্যক্রম চালাবে। এরপর ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি সা’দ অনুসারীরা ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। উভয় পক্ষ একে অপরকে পুলিশের উপস্থিতিতে ময়দান বুঝিয়ে দেবেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) ওয়াই এম বেলালুর রহমান বলেন, মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুলিশ-র‌্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য মোতায়েন, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইজতেমা সফল ও মুসল্লিদের সেবা প্রদানে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ইজতেমা সফল করতে এবং মুসল্লিদের সেবা প্রদানে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। দুই পক্ষের ঐকমত্যের কারণেই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সা’দ অংশগ্রহণ করবেন না।

সর্বশেষ খবর