মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

কবিরাজে সর্বনাশ

মির্জা মেহেদী তমাল

কবিরাজে সর্বনাশ

স্বামী-সন্তান-সংসার নিয়ে ভালোই কাটছিল বিউটির (ছদ্মনাম)। আয়-রোজগারের জন্য স্বামী বিদেশ যান। কিন্তু বেশ কিছুদিন পর শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। কী করবেন বুঝতে পারেন না বিউটি। স্বামীকেও ফোনে বলেছেন। মানিয়ে নিতে বলেছেন তার স্বামী। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, ততই সম্পর্ক খারাপের দিকে। পরিচিত লোকজনের কাছে বিউটি এর সমস্যা কীভাবে করবেন জানতে চান। কিন্তু কারও কাছেই সমাধান পান না। পরিচিত একজনের কাছে বিউটি জানতে পারেন এক কবিরাজের কথা। কবিরাজের কথা শুনেই ভাবলেন এবার শেষ চিকিৎসাটা করতেই হবে। নইলে টেকা যাচ্ছে না বাড়িতে। টানাপোড়েন থেকে রক্ষা পেতে বদিউল আলম কবিরাজের কাছে যান বিউটি। আগেই বিউটি জেনেছিলেন, বদিউল কবিরাজ তাবিজের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেন। তাই বদিউল কবিরাজকে বিষয়টি জানালে সমস্যার সমাধান করবেন বলে কথা দেন। কবিরাজ একদিন  তাকে সময় করে আসতে বলেন। বিউটি তার কথামতো দেখা করেন কবিরাজের সঙ্গে। তাবিজ দেওয়ার কথা বলে লাকসাম পৌরসভার পশ্চিমগাঁও এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যান বদিউল কবিরাজ। ওখানে গেলে বদিউল কবিরাজ বলেন, এ ব্যাপারে তাবিজ দিলে অবশ্যই ফুফরির মাধ্যমে দিতে হবে। তখন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বদিউল তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং ধর্ষণ করেন। তারপর তাবিজ দিয়ে তাকে বিদায় করেন। মানসম্মানের ভয়ে ওই সময় ব্যাপারটা কারও কাছে প্রকাশ করেননি বিউটি। ইতিমধ্যে ব্ল্যাকমেইল করে তাকে বার বার ধর্ষণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন বিউটি। প্রবাসী স্বামীর কথা ভেবে বিউটি পাগলপ্রায়। তিনি কী করবেন কিছু বুঝতে পারছেন না। ঘটনাটি কুমিল্লার লাকসামের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাবিজ ও কুফরি কালামের কবিরাজের কাছে গিয়ে এমন বহু বিউটির সর্বনাশ হচ্ছে সারা দেশেই। না জেনে কোনো কবিরাজকে বিশ্বাস করা ঠিক নয় বলে জানান অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর