মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

নিখোঁজ বৃষ্টিকে ফেরতে বাবার কাছে লাখ টাকা দাবি

অগ্নিকান্ডের পর প্রতারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ ফেব্রুয়ারি। দিনটি ছিল বুধবার। রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান শেষে পুরান ঢাকায় ফিরছিলেন ফাতেমাতুজ জোহরা বৃষ্টি ও তার বান্ধবী রেহনুমা দোলা। ঘটনার কিছু সময় আগেও তারা কথা বলেছেন পরিবারের সঙ্গে।

চকবাজার চুরিহাট্টার নন্দ কুমার দত্ত লেন দিয়ে রিকশায় বাসায় ফিরছিলেন তারা। ওই সড়কেই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর থেকে নিখোঁজ এই দুই তরুণী। লাশ পেতে সবখানে ঘুরেছেন স্বজনরা। ধ্বংসস্ত‘প, হাসপাতাল, মর্গ কোথাও বাকি রাখেননি তারা। এরইমধ্যে স্বজনহারা এ মানুষদের ওপর চেপে বসেছে প্রতারক চক্র। 

হঠাৎ একটি ফোন আসে বৃষ্টির বাবা জসিম উদ্দিনের কাছে। তাকে বলা হয়- এক লাখ টাকা দিলে তিনি তার  মেয়েকে ফেরত পাবেন। মেয়ের জন্য পাগলপ্রায় বাবা তাৎক্ষণিক ডিজিটাল আর্থিক সেবা (ডিএফএস) ‘নগদ’ এর মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকে ওই মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। 

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার লালবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বৃষ্টির বাবা জসিম উদ্দিন। পুলিশ জানায়, থার্ড পার্টির মাধ্যমে এই ফোন কলটি বৃষ্টির বাবার কাছে করা হয়েছিল। এটা ডিজিটাল প্রতারণা। প্রতারককে শনাক্ত করার কাজ চলছে।

অগ্নিকান্ডের পর যখন বৃষ্টি আর দোলার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) শরণাপন্ন হন। ডিবি পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় নিখোঁজ দুজনের সর্বশেষ অবস্থান অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থলের পাশেই চিহ্নিত করে। জানা গেছে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টির বাবা জসিম উদ্দিনের মোবাইলে ফোন করে প্রতারক চক্রটি ০১৬৩৯২৩৮১৯৩ নম্বরে ‘নগদ’ ওয়ালেট-এ টাকা পাঠাতে বললে তিনি ৫০ হাজার টাকা পাঠান। এদিকে আগুনে পুড়ে মারা গেছে- এই সন্দেহ থেকে নিখোঁজ বৃষ্টি ও দোলার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সিআইডির কাছে ডিএনএ নমুনাও দিয়েছেন দুই পরিবারের সদস্যরা।

সর্বশেষ খবর