বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

মাদারীপুরের মৌচাকবাড়ি

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

মাদারীপুরের মৌচাকবাড়ি

একটি বাড়ির ভবনে ও ভবনের পাশের গাছের ডালে মৌমাছিরা অর্ধশতাধিক চাক বেঁধেছে। এভাবে ১০ বছর ধরে মাদারীপুরের দক্ষিণ খাকছাড়া গ্রামের কবির মল্লিকের বাড়িতে মৌমাছি প্রায় ছয় মাস বাসা বেঁধে থাকে। দৃষ্টিনন্দন এই দৃশ্য দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আসেন দর্শনার্থী। বাড়িতে এত মৌচাকের বাসার কারণে স্থানীয়রা সবাই এ বাড়িটিকে ‘মৌচাকবাড়ি’ বলে চেনে।

সরেজমিন মাদারীপুর জেলা শহরের দক্ষিণ খাকছাড়া গ্রামের কবির মল্লিকের ‘মৌচাকবাড়ি’-তে দেখা গেল, দোতলা এই ভবনের চারদিকের কার্জিন, বারান্দার দেয়াল, দরজার উপরের অংশ কোনো জায়গা ফাঁকা নেই, সবখানেই ঝুলছে মৌচাক। ভবনের পাশের গাছের ঢালেও ঝুলছে মৌমাছির বাসা। দূর থেকে বাড়িটি দেখলে মনে হয় যেন মৌমাছির বাড়ি। এভাবে প্রায় অর্ধশত মৌচাক বাসা বেঁধে থাকে সেপ্টেম্বর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। এ ব্যাপারে বাড়ির মালিকের ছেলে সাজ্জাত মল্লিকসহ কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, এ বাড়িতে সব সময় মৌচাক থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসে সারি সারি মৌচাক দেখার জন্য। যখন মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করা হয় তখন খাঁটি মধু আমরা খেতে পারি। আমাদের এলাকাবাসীর জন্য এ বাড়িটা একটা দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। মৌচাক দেখতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, বাড়ির চারদিকে মৌচাকগুলোকে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। মৌচাকবাড়ির মালিক কবির মল্লিক বলেন, ১০ বছর ধরে এভাবেই মৌচাক বসে আমার বিল্ডিংয়ের দেয়াল ঘেঁষে। দৃষ্টিনন্দন এ দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন মানুষ ভিড় করে এ বাড়িতে। সারা বছর মৌচাক থাকলেও সরিষা চাষের মৌসুমে চাকের পরিমাণ বেড়ে যায়। মৌমাছি আমাদের বাড়ির কারও কোনো ক্ষতি করে না। মৌচাকের সুবাদে আমরা বারো মাসই মধু খেতে পারি এবং প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনকেও দিতে পারি।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর