শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

চলে গেলেন সাংবাদিক শাহ আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলে গেলেন সাংবাদিক শাহ আলমগীর

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক শাহ আলমগীর আর নেই। মাত্র ৬২ বছর বয়সে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকাল ১০টা ১০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। চার দফা নামাজে জানাজা শেষে বিকালে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে পিআইবি ও জাতীয় প্রেস ক্লাবে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সাংবাদিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই থেকে পিআইবির ডিজির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত বছর তার চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ায় সরকার। ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়; পরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। হঠাৎ শাহ আলমগীরের রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছিল। ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

মরহুমের পৈতৃক বাড়ি রাজধানীর গোড়ান ও পিআইবিতে জানাজা শেষে তৃতীয় দফা জানাজা হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবে। সেখানে জানাজায় অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শফিকুর রহমান এমপি, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, চ্যানেল আইয়ের এমডি ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক (বার্তা) শাইখ সিরাজ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিম হেলাল, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ প্রমুখ। এ সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বৈশাখী টিভির বার্তাপ্রধান অশোক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানাজা শেষে শাহ আলমগীরের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে, ডিআরইউ, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, নারী সাংবাদিক কেন্দ্র, কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, ময়মনসিংহ জেলা সাংবাদিক ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ফোরাম, রংপুর বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতি, আরটিভি, একুশে টিভি, সংবাদ, মাছরাঙা, বৈশাখী, চ্যানেল আই, প্রথম আলো, শিশুকল্যাণ পরিষদ, পিআইবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সম্প্রচার সাংবাদিক ফোরাম, বাংলা টিভিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। এরপর তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরার নিজ বাসভবনে। বাদ আসর উত্তরায় চতুর্থ জানাজা শেষে ১২ নম্বর সেক্টরের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

শাহ আলমগীর কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদে। প্রথম আলো প্রকাশের সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া চ্যানেল আই, একুশে টেলিভিশন, যমুনা টেলিভিশন, মাছরাঙা টেলিভিশনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে আরও শোক জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর