শনিবার, ২ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

বসুন্ধরায় ইন্দো-বাংলা অটোমোটিভ শো

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরায় ইন্দো-বাংলা অটোমোটিভ শো

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে ইন্দো-বাংলা অটোমোটিভ শো-২০১৯। গতকাল প্রধান অতিথি হিসেবে এ মোটর শোর উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। চার দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ও ভারতের অটোমোবাইল খাতের অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান   অংশ নিয়েছে। প্রদর্শনী চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। আরও ছিলেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আদর্শ সোয়াইকা, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, বাংলাদেশ অটোমোবাইল অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএএমএ) সভাপতি হাফিজুর রহমান খান, বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএএমএ) সভাপতি মতিউর রহমান খান, টাটা মটরসের সহ-সভাপতি সুশান্ত নায়েক, সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্সের (সিয়াম) উপ-মহাপরিচালক শুগাতো সেনসহ বাংলাদেশ ও ভারতের অন্য ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন কিছু ব্র্যান্ডের টু-হুইলার (মোটরবাইক) সংযোজন এবং প্রস্তুত করা হচ্ছে। নীতিমালা না থাকায় ফোর-হুইলার (গাড়ি) সংযোজন বা প্রস্তুত হচ্ছে না। আগামী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে আমরা একটি নীতিমালা প্রণয়ন করব, যার মাধ্যমে আমরা ফোর-হুইলার সংযোজন ও প্রস্তুতকরণের দিকে এগিয়ে যাব।’ ভারতসহ অন্যান্য দেশকে বাংলাদেশে অটোমোবাইল খাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বাংলাদেশে অটোমোবাইল ইউনিট স্থাপন করুন। সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। এখানে আমরা যৌথভাবে গাড়ি উৎপাদনে যেতে পারি। এতে আমরা উভয়ই লাভবান হব। প্রস্তুতকৃত গাড়ি কম মূল্যে দেশের বাজারে বিক্রির পাশাপাশি রপ্তানি করতে পারব।’ তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি টায়ারসহ গাড়ির অন্যান্য যন্ত্রাংশ তৈরিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, তৈরি পোশাক খাতের পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে এখন দ্বিতীয়। আমরা সব ধরনের ব্যবসায় প্রস্তুতকারক হতে চাই। সেভাবেই নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। বেসরকারি খাতকে বিনিয়োগের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যেতে সরকার নানাভাবে উৎসাহিত করছে। ভারতসহ অন্য দেশগুলোও এসব নীতিমালার সুবিধা নিয়ে এদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আদর্শ সোয়াইকা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দুই বন্ধুপ্রতিম দেশ। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক বন্ধুত্বও উল্লেখ করার মতো। ভারতের মোটরবাইক পার্টনারশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশে সংযোজন হচ্ছে। এতে দাম কমছে। তিনি বাংলাদেশের সব শ্রেণির মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে জ্বালানি সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল ও গাড়ি তৈরির অনুরোধ করেন ব্যবসায়ীদের প্রতি। আদর্শ সোয়াইকা বলেন, এ ধরনের মোটর শো শুধু বেচাকেনার জন্যই নয়, বরং নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ এবং সম্পর্ক তৈরি ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ধারাবাহিকতায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো এবারও আয়োজন করা হয়েছে ইন্দো-বাংলা অটোমোটিভ শো।

সর্বশেষ খবর