বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

কেমিক্যাল উচ্ছেদে ফের বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকায় অবৈধ কেমিক্যাল ও প্লাস্টিক কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে আবারও ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স। গতকাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে বকশীবাজারের জয়নাগ রোডে অভিযানের শুরুতেই প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। জয়নাগ রোডে প্লাস্টিক দানার কারখানা ও গুদাম দেখতে পায় অভিযান পরিচালনাকারী দলটি। পরে কারখানাসহ পুরো ভবনের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। একই রোডের আরও একটি বাসার নিচতলায় প্লাস্টিক দানার কারখানা পাওয়ায় সেখানেও বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ করে অভিযানবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। এদিকে, গত রবিবার পুরান ঢাকার চকবাজারে আবাসিক ভবন থেকে কেমিক্যাল গোডাউন উচ্ছেদে গেলে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে অভিযান ওই সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়। গতকালের অভিযানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ খানসহ তিতাস গ্যাস, ঢাকা ওয়াসা, ডিপিডিসি, বিস্ফোরক অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও চকবাজার থানা পুলিশের সদস্যরা। এর আগে শনিবার দুপুরে দ্বিতীয় দফা অভিযান শুরু হয় আরমানিটোলা ও শহীদনগরে। শহীদনগরে বেশ কয়েকটি কারখানার পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অল্প সময়ের নোটিসে কারখানা ও গুদাম সরানো কঠিন বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘আমাদের সময় দিতে হবে। এখানে হাজার হাজার কেমিক্যাল আছে। এখানে আগুন ছড়ানোর কেমিক্যাল আছে। আগুন নেভানোরও কেমিক্যাল আছে। আমাদের একটা জায়গা দিন আমরা সেখানে যাব।’ আরমানিটোলায় বেশ কয়েকটি কারখানাকে সপ্তাহখানেকের সময় বেঁধে দিয়েছে টাস্কফোর্স। পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা রাসায়নিক ঝুঁকিমুক্ত করার ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের কথা জানালেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকান্ডে  ব্যাপক প্রাণহানির পর ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চকবাজার থেকে সব ধরনের কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে নেওয়ার জন্য মাইকিং করেছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

সর্বশেষ খবর