বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

আদালতের চোখ ফাঁকি দিয়ে বালু উত্তোলন চলছেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

আদালতের স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও কুমিল্লা জেলা প্রশাসন মেঘনা উপজেলাধীন কয়েকটি মৌজায় মেঘনা নদীতে ভিন্ন নামে ‘বালুমহাল’ ইজারা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে ওই এলাকাগুলো ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা তাদের। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ইতিমধ্যে উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ২৪১টি পরিবারের বাড়ি-ঘরসহ কয়েকশ একর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এক আবেদনে জানিয়েছে স্থানীয়রা। জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ২৬  ফেব্রুয়ারি মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের ভাষানিয়া দড়িচর মৌজার ‘নলচর মেঘনা নদী ভরাটিয়া বালুমহাল’, সেনেরচর ও সাপমারা চরেরগাঁও  মৌজার ‘৬ নম্বর সেনেরচর ও ১ নম্বর সাপমারা চরেরগাঁও বালুমহাল’ এবং চালিভাঙ্গা মৌজার ‘চালিভাঙ্গা বালুমহাল’ ইজারা দিতে দরপত্র আহ্বান করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়। আজ দরপত্র জমাদানের শেষ তারিখ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন কবলিত এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে উচ্চ আদালত এ জায়গাগুলোকে বালুমহাল হিসেবে ইৎারা দেওয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। এতে ভাঙন বন্ধ হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতেই স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আবারও বালু উত্তোলন শুরু করে। এ নিয়ে ২০১৭ সালে উচ্চ আদালতে একটি রিট (৪৭৬৩/২০১৭) দায়ের করেন হোসাইন মোহাম্মদ মহসিন মিয়া নামের এক ব্যক্তি। গত বছর এই রিটের শুনানি শেষে স্থগিতাদেশ এক বছর বাড়ানো হয় যার মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। অথচ এরইমধ্যে দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় কাইয়ুম, সানাউল্লাহ ও ডালিমের নেতৃত্বে আবারও চক্রটি বালু উত্তোলন শুরু করেছে। এ ছাড়া এই স্থগিতাদেশের মধ্যেই জেলা প্রশাসন আদালতের চোখে ধুলো দিতে জায়গাগুলোর নাম কিছুটা বদলে বালুমহাল হিসেবে ইজারা দেওয়ার তোড়জোড় করছে।

সর্বশেষ খবর