শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

জয় বাংলার কনসার্টে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস

মোস্তফা মতিহার

জয় বাংলার কনসার্টে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের সঙ্গে সুরের মূর্চ্ছনায় বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে প্রকম্পিত ছিল গতকালের আর্মি স্টেডিয়াম। জয়বাংলা স্লোগান এবং মঞ্চ থেকে এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম স্লোগানে মুখরিত থাকে লাখো মানুষের জনসমুদ্র।

বিকালে ইয়াং বাংলার আয়োজনে জয়বাংলা কনসার্ট অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা জাগানিয়া গানগুলো পরিবেশন করে চিরকুট, আর্বোভাইরাস, লালন, ক্রিপটিক ফেইট, নেমেসিস, শূন্য, বে অব বেঙ্গলসহ এ সময়ের জনপ্রিয়  ৯টি ব্যান্ডদল। নিজস্ব গানের পাশাপাশি সুরের এ আসরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গানও পরিবেশন করেন ব্যান্ডের শিল্পীরা।

আসরের শুরুতে মঞ্চে আসে বে অব বেঙ্গল। নিজেদের গান ছাড়াও দেশাত্মবোধক গান গেয়ে এ সময় শ্রোতাদের উজ্জীবিত করে দলটি। এরপর মঞ্চে আসে শূন্য ব্যান্ড। স্বাধীন বাংলা বেতারের গান ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ দিয়ে নিজেদের পরিবেশনা শুরু করে দলটি। এ সময় তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে হাজার কণ্ঠ গেয়ে ওঠে জয় বাংলা বাংলার জয়। লালন ব্যান্ড গেয়ে শোনায় ‘মালকা বানুর দেশেতে আগুন লাগে মনেতে, ‘সময় গেলে সাধন হবে না’। এরপর তারা পরিবেশন করে ‘শেখ মুজিবের মুক্তি চাই, মুক্তি চাই। এ সময় তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান  স্টেডিয়ামভর্তি দর্শক শ্রোতারা। ‘মাগো এখনই সময়’  দেশাত্মবোধক গান দিয়ে শেষ করেন তারা। এ সময় কনসার্টে উপস্থিত হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ রেহানা, তার ছেলে ও সিআরআই ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। বিকাল ও সন্ধ্যার নামাজের বিরতির ফাঁকে মঞ্চ মাতায় দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্বোভাইরাস। দেশাত্মবোধক গান ‘ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা’ গেয়ে দর্শকদের আবেগাপ্লুত করে রাখে এই ব্যান্ডটি। এরপর তাদের গান ‘হারিয়ে যাও তুমি’ গাওয়ার সময় সারা স্টেডিয়ামে ছড়িয়ে থাকা দর্শকরা মোবাইলের আলো জ্বেলে স্বাগত জানায় ব্যান্ড দলটিকে।

 শেষে ব্যান্ড দলটির ড্রামের তালে তালে হাজারও কণ্ঠ গেয়ে ওঠে ‘আয় আয় বন্ধুরা ফিরে আয়’।

সন্ধ্যা ৭টায় দেখানো হয় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। তার পর পারফর্ম করে ক্রিপটিক ফেইট। সব শেষে ছিল চিরকুট ব্যান্ডের পরিবেশনা। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রাফিক্যাল রিপ্রেজেন্টেশন করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা হয় আগামী প্রজন্মকে।

সর্বশেষ খবর