মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

কেন্দ্রে ভোটার নেই, হিসাবে ভোট পড়েছে ৪১.৪১ ভাগ

উপজেলা নির্বাচন

গোলাম রাব্বানী

উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ভোটারশূন্য কেন্দ্র থাকলেও ব্যালট বাক্সে ভোট পড়েছে ৪০ ভাগের বেশি। এর মধ্যে তৃতীয় ধাপে ১২২ উপজেলার মধ্যে ২৭ উপজেলায় ৫০ ভাগের বেশি ভোট পড়েছে। এ ধাপে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে ৭২.৯১ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে লক্ষ্মীপুর সদরে ১৯.২৬ শতাংশ। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ভোট পড়েছে ৬২.২২ ভাগ, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডে  ৬১.৯৩ শতাংশ, শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে ৬০.৭৭ শতাংশ। এ ছাড়া ৫৯.৩৯ শতাংশ ভোট পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায়, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ভোট পড়েছে ৫৯.৮১ শতাংশ। এ ধাপে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান হয়েছেন ৮৩ জন ও স্বতন্ত্র-আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ৩৮ জন, জাতীয় পার্টির ১ জন। এর মধ্যে ভোট ছাড়াই (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) আওয়ামী লীগের ৩১ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

দ্বিতীয় ধাপে ৪১.২৫ শতাংশ : ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোটারশূন্য ভোটকেন্দ্র থাকলেও গড়ে ৪১.২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায় সর্বোচ্চ ৭৯.৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ৮.৬৩ শতাংশ, এ উপজেলায় ১ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৯ ভোটের মধ্যে মাত্র ভোট দিয়েছেন ১৪ হাজার ৭০৪ জন। সেই সঙ্গে সিলেটের জৈন্তাপুরে ভোট পড়েছে ৯.৩৮ শতাংশ, গোয়াইনঘাটে ১৬.৫৩ শতাংশ এবং বগুড়া সদর উপজেলায় ভোট পড়েছে ১৩.১৩ শতাংশ। এ ছাড়া খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ভোট পড়েছে ৭৮.১২ শতাংশ। আর ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে ভোট ৭১.৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে।

প্রথম ধাপে ভোট ৪৩.৩২ শতাংশ : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৪৩.৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ১৩.১৯ শতাংশ। আর পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় সর্বোচ্চ ৭১.১৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ৭৮ উপজেলায় ভোট হয়েছে রবিবার আর তিন উপজেলায় আগেই সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সব মিলিয়ে ৮১ উপজেলার চেয়ারম্যান পদের ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৫৮টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ২৩টিতে। তবে স্বতন্ত্রের মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন।

১০ মার্চ প্রথম ধাপে চার বিভাগের ১২ জেলার ৭৮ উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১ কোটি ১০ লাখ ৫২ হাজার ৬৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫১২ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৪ হাজার ৩৫৪টি ভোট বাতিল হয়েছে। বাকি ভোট বৈধ হিসেবে গণ্য হয়েছে।

 ছয়টি উপজেলায় ৩০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। সেগুলো হচ্ছে-পঞ্চগড় সদর (২০.৬৩ শতাংশ), কুড়িগ্রামের উলিপুর (২৯.৭২ শতাংশ), নীলফামারীর ডিমলা (২৪.৮৯ শতাংশ), লালমনিরহাট সদর (২৬.০৯ শতাংশ), রাজশাহীর পুঠিয়া (২৬.৬৯ শতাংশ) ও বাগমারায় (১৩.১৯ শতাংশ)। বাগমারা উপজেলায় ২ লাখ ৭৮ হাজার ১৪টি ভোটের মধ্যে ৩৬ হাজার ৬৭০ ভোট পড়েছে। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের অনিল কুমার সরকার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে সর্বোচ্চ ভোট পড়া আটোয়ারী উপজেলায় ৯ লাখ ৬০ হাজার ২১টি ভোটের মধ্যে ৬৮ হাজার ৩২৬টি ভোট পড়েছে।

২০১৪ সালে সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গড়ে ৬১ শতাংশ ভোট গ্রহণ হয়েছিল। ওই বার প্রথম পর্বে ৬২.৪৪ শতাংশ, দ্বিতীয় পর্বে ৬৩.৩১ শতাংশ, তৃতীয় পর্বে ৬৩.৫২ শতাংশ, চতুর্থ পর্বে ৫৬.১২ শতাংশ ও পঞ্চম পর্বে ৬০.৮৯ শতাংশ ভোট পড়ে। ২০০৯ সালে এক দিনে সারা দেশে ভোট হয়। তাতে ৪৭৫টি উপজেলার মোট ভোটের হার ছিল ৬৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

সর্বশেষ খবর