রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গতকাল বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে বঙ্গভবনের চত্বরে আয়োজিত এ সংবর্ধনায় যোগ দেন। রাষ্ট্রপতির পতœী রাশিদা খানম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসস’র।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া এবং জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ সংবর্ধনায় যোগ দেন। প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধারা এবং বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তদের পরিবারের সদস্যরাও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ সংবর্ধনায় যোগ দেন।
মন্ত্রিসভার সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, জাতীয় সংসদ সদস্য, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানরা, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক, সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতারা, শিক্ষাবিদ, শিল্পী, ব্যবসায়ী নেতারাসহ উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা সংবর্ধনায় যোগ দেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি কেক কাটেন। এ উপলক্ষে লাল-সবুজ রঙের বেলুন অবমুক্ত করা হয়। তাঁরা অনুষ্ঠানে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং অন্যান্য বিশিষ্টজন ও অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। রাষ্ট্রপ্র্রধান ও সরকার প্রধান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজখবর নেন এবং তাঁদের কল্যাণে সবধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। পরে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং দেশের প্রখ্যাত শিল্পীরা সেখানে দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করেন। রাষ্ট্রপতির বাসভবনের উত্তরপাশের সবুজ চত্বরে আমন্ত্রিত অতিথিদের নাস্তা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
