শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

তেরেসার সামনে পদত্যাগই পথ

প্রতিদিন ডেস্ক

তেরেসার সামনে পদত্যাগই পথ

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট ইস্যুতে এমপিদের আটটি প্রস্তাবের কোনোটিই নিম্নকক্ষের ভোটে স্পষ্ট সমর্থন আদায় করতে পারেনি। গত বুধবার অনুষ্ঠিত এ ভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি কাস্টমস ইউনিয়নের প্রস্তাব, চুক্তি অনুমোদনের জন্য গণভোটের আহ্বান, নো-ডিল  ব্রেক্সিটের প্রস্তাব থেকে শুরু করে ইইউয়ের সঙ্গে শুল্ক কাঠামো রক্ষা করে ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্ত করার প্রস্তাবসহ সব প্রস্তাবই বাতিল হয়ে গেছে। সূত্র : ইন্টারনেট। এর আগে পার্লামেন্টে ১৬টি বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করা হলেও স্পিকার আটটি প্রস্তাব বেছে নিয়েছিলেন। বিতর্কের পর আইন-প্রণেতাদের প্রত্যেকের সামনে আটটি বিকল্প প্রস্তাব সংক্রান্ত কাগজ তুলে দেওয়া হয়। এর  মধ্যে যে প্রস্তাবগুলোতে তাদের সম্মতি থাকবে সেগুলোকে তারা ‘হ্যাঁ’ হিসেবে, আর যেগুলোতে তাদের আপত্তি থাকবে সেগুলোকে ‘না’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। এক্ষেত্রে কাস্টমস ইউনিয়নের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৬৪, আর বিপক্ষে ২৭২, নিশ্চিত গণভোটের পক্ষে ২৬৮ এবং বিপক্ষে ২৯৫, ১২ এপ্রিল চুক্তিহীনভাবে বেক্সিট বাস্তবায়নের পক্ষে ১৬০ এবং বিপক্ষে ৪০০ ভোট, একক বাজার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবের পক্ষে ১৮৮ এবং বিপক্ষে ২৮৩, ইএফটিএ এবং ইইএ সদস্যপদের পক্ষে ৬৫ এবং বিপক্ষে ৩৭৭, চুক্তিহীনতা এড়াতে অনুচ্ছেদ বাতিল করার পক্ষে ১৮৪ এবং বিপক্ষে ২৯৩, লেবার পার্টির প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট পরিকল্পনার পক্ষে ২৩৭ এবং বিপক্ষে ৩০৭ ভোট এবং মল্টহাউজ প্ল্যান বির পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৩৯ জন এবং বিপক্ষে ৪২২ জন। সবচেয়ে বেশি সমর্থন পাওয়া প্রস্তাবটি হল ক্রস পার্টি প্ল্যান। এর নেতৃত্ব দিয়েছেন সাবেক রক্ষণশীল দলের চ্যান্সেলর কেন ক্লার্ক। যেখানে ব্রেক্সিটের পরও ব্রিটেনের সঙ্গে ইইউর শুল্কমুক্ত বাণিজ্য অব্যাহত থাকবে।

বুধবারের ভোটাভুটির ফলাফলের কারণে ব্রিটেনের একদিনের নাটকীয় পরিস্থিতির অবসান হয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যদি তার চুক্তি পাস হয়ে যায় তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। অর্থাৎ পার্লামেন্টে ইইউ থেকে ব্রিটেনের প্রত্যাহারের চুক্তি পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। এখন তার সামনে এ পদত্যাগের বিষয়টিই সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ব্রেক্সিট সম্পন্ন হওয়ার পর টোরি নেতৃত্বের লড়াই হতে পারে। সেটা কবে নাগাদ হবে তা নির্ভর করবে রক্ষণশীল দলের ওপর। টোরি সদস্যদের মাধ্যমে নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন। প্রসঙ্গত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ২৯ মার্চের পরিবর্তে ১২ এপ্রিল যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েপ্রণ ইউরোপীয় নেতারা। তেরেসা মের চুক্তি অনুমোদন পেলে ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা ২২ মে পর্যন্ত বাড়াবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে কোনো বিকল্প পরিকল্পনা বাস্তবায়িত না হলে ১২ এপ্রিল কোনো চুক্তি ছাড়াাই ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে হবে।

সর্বশেষ খবর