মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

যেখানে ইভিএম সেখানেই ভোট কম

ইসির হিসাবে সর্বনিম্ন ১৩.৫০, সর্বোচ্চ ৭০.৮২ শতাংশ, উপজেলায় চতুর্থ ধাপে গড় ভোট কমে ৩৬.৫০

গোলাম রাব্বানী

উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আরও কমেছে। আগের তিন ধাপে গড়ে ৪০ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিত হলেও চতুর্থ ধাপে ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া যেখানে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে তুলনামূলক কম ভোট পড়েছে। এ ধাপে পটুয়াখালী সদর, কক্সবাজার সদর, বাগেরহাট সদর, ময়মনসিংহ সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর ও ফেনী সদর উপজেলায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ফেনী সদরে সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ আর মুন্সীগঞ্জ সদরে ৩০ দশমিক ৭৪, পটুয়াখালী সদরে ৩৭ দশমিক ১৬, কক্সবাজার সদরে ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মুন্সীগঞ্জ সদরে ইভিএমে ভোট পড়ার হার ৩০ শতাংশ হলেও এ জেলার অন্য উপজেলায় ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এ জেলায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে টঙ্গীবাড়ীতে, ৪৫ দশমিক ২৭ শতাংশ, যদিও এ উপজেলায়ও ভোটারশূন্য ছিল অধিকাংশ কেন্দ্র। নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, ইভিএমের ভোটের পরিসংখ্যানটাই আসল পরিসংখ্যান। যেসব উপজেলায় বেশি ভোট পড়েছে, সেখানে অনিয়ম হয়েছে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিএমে অনিয়মের সুযোগ নেই। তাই ভোট কম পড়েছে। এ ধাপে সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ফেনী সদর উপজেলায়। আর এ উপজেলায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপজেলায় ভোট পড়েছে ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ ধাপে সর্বোচ্চ ৭০ দশমিক ৮২ শতাংশ ভোট পড়েছে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায়। ভোটারশূন্য কেন্দ্র দেখা গেলেও ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে ১১ উপজেলায়। এ ছাড়া ৩০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে ১৪ উপজেলায়। আর ২০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে ৩ উপজেলায়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ফেনী সদর উপজেলায় ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ১৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ ও নরসিংদী সদরে ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পাশাপাশি দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অনেক এলাকায় নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। গত রবিবার ১০৬ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৭৩ জন বিজয়ী হয়েছেন, এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৪ জন। দলটির বিদ্রোহী-স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৩১টি এবং স্বতন্ত্র (বিএনপি) ১ ও জাতীয় পার্টি (জেপি) ১ জন চেয়ারম্যান বিজয়ী হয়েছেন। চতুর্থ ধাপে ১০৭ উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হয়। তবে আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখার অভিযোগে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার পুরো নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

সর্বশেষ খবর