মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
মাদারীপুরে রাসেল হত্যা

খুনিরা মাকে আর্তনাদ শুনিয়েছিল মোবাইল ফোনে

মাদারীপুর প্রতিনিধি

রাসেল খানকে (২৫) হত্যার আগে খুনিরা মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তার মাকে মৃত্যুর আর্তনাদ শুনিয়েছিল। ফোনে মা শেফালী বেগম শুনেছিলেন রাসেলের চিৎকার আর গোঙ্গানির শব্দ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ৮/১০  দিন আগে মাদারীপুর সদর উপজেলার করদী এলাকার সামসু কাজীর ছেলে রাসেল কাজীর সঙ্গে তারই বন্ধু রাসেল খানের সিমকার্ড নিয়ে কথাকাটাকাটি এবং হাতাহাতি  হয়। এর জের ধরে ২৭ মার্চ রাত ৮টার দিকে স্থানীয় সনমন্দি বাজার থেকে রাসেলকে ডেকে নিয়ে যায় চার/পাঁচজন। এরপর তারা সবাই মিলে হাতুড়ি দিয়ে রাসেলের মাথা ও ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এ সময় তারা মা শেফালী বেগমকে ফোন করে বলে, ‘তোর পোলারে পিডাই মারতেছি শোন।’ এরপর মাকে শোনানো হয় চিৎকার ও গোঙ্গানির শব্দ। এক পর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে রাসেলকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় খুনিরা। পরে স্থানীয়রা রাসেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই মারা যায় রাসেল। রাসেল করদী এলাকার হাবিব খানের ছেলে। জানা গেছে, নিহত রাসেলের স্ত্রীর গর্ভে তিন মাসের সন্তান রয়েছে। রাসেল পেশায় একজন ভ্যানচালক। রাসেলের মা শেফালী বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘মোবাইল ফোনে কল দিয়ে মারধরের শব্দ শোনানো হয় আমাকে। আমার ছেলে বাঁচার জন্য অনেক চিৎকার করেছে তবুও ওরে ছাড়েনি। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে ফেলে রেখে যায়। আমার ছেলের বউ গর্ভবতী। অনাগত সন্তান কাকে বাবা ডাকবে? আমি এই হত্যার বিচার চাই।’ নিহতের খালাতো ভাই জুয়েল মাতুব্বর বলেন, এভাবে একজন বন্ধুকে আরেকজন বন্ধু হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করতে পারে? আমি এ হত্যাকান্ডে র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। মাদারীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহিন সরদার বলেন, নিহত রাসেল খানের মাথা, ঘাড়সহ সব শরীরে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়। এ কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সর্বশেষ খবর