শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাজধানীতে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

রবিবার কালবৈশাখী ঝড়ের পর ১৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় গতকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, আজ রাজধানীতে কালবৈশাখী ঝড় না বইলেও দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। রাজধানীতে গতকাল দুপুর ২টার মধ্যে ঢাকার উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ পড়ে ভাঙা গাছ এবং আবর্জনা পরিষ্কার করে যান চলাচলের জন্য উপযোগী করে ফেলে। ঝড়ের চার ঘণ্টার মধ্যেই স্বাভাবিক হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ।

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আজও ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দমকা হাওয়া সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে।

কুমিল্লা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্যাস সরবরাহ লাইন। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট উপজেলার আড়াই লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহক। যদিও কালবৈশাখীর ২৪ ঘণ্টা পর গতকাল কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়। রবিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাসাসহ শিল্প-কারখানা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে স্থবিরতা নেমে আসে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রায় ২৮ হাজার ও পল্লী বিদ্যুতের (পবিস) তিন উপজেলার সোয়া দুই লাখ গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েন। চান্দিনা উপজেলার অনেক গ্রামে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল হয়নি। দাউদকান্দি, মেঘনা, হোমনা ও তিতাসেও বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।

সন্ধ্যায় পিডিবির লাকসাম দৌলতগঞ্জ সরবরাহ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সামির আসাদ জানান, ৫টি ফিডারের মধ্যে সবেমাত্র ৩টি চালু করা গেছে। বাকি দুটি ফিডারের লাইন মেরামতের কাজ চলছে। কুমিল্লা পবিস-৪ (লাকসাম) প্রকৌশলী দিলিপ চন্দ্র চৌধুরী জানান, ঝড়ের পর বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। অনেক স্থানে লাইন ছিঁড়ে যায়, পোল হেলে পড়ে এবং তারের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। 

জানা গেছে, ঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ায় বাখরাবাদ গ্যাসের লাকসাম এলাকার হরিশ্চর, বাকই ও বাগমারা এবং লাকসাম পৌরসভা এলাকার অন্তত ৬টি স্থানে পাইপ ছিদ্র হয়ে গ্যাস বেরোতে থাকে। হরিশ্চর এলাকায় পাইপ ফেটে যায়। বাখরাবাদ গ্যাসের কর্মকর্তারা মেরামত কাজ করছেন।

সর্বশেষ খবর