বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

পাহাড় মেতেছে বৈসাবিতে

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড় মেতেছে বৈসাবিতে

রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু-সাংগ্রাইং-বৈসুক-বিষু অর্থাৎ বৈসাবি। আর এ উৎসবকে ঘিরে বসানো হয়েছে মেলা। পার্বত্যাঞ্চলে ১০ ভাষাভাষী ১১টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহিনী সব কৃষ্টি, সংষ্কৃতি দিয়ে সাজানো হয়েছে মেলার সব স্টল। স্থান পেয়েছে- চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, বম, চাক, পাংখোয়া, লুসাই, খুমী ও খিয়াং নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি, সংষ্কৃতি, খাবার, নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি। মেলাকে আরও আকর্ষণীয় করতে যোগ দিয়েছে অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও ভারতের শিল্পীরা। পাহাড়ের আনাচে-কানাচে সর্বত্র এখন সাজ সাজ রব। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ফিতা কেটে এ বৈসাবি উৎসবের সূচনা করেন রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এ সময় রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ রিয়াজ মেহমুদ, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা ও রাঙামাটি অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক এস এম শফি কামাল উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর মেলা প্রাঙ্গণ মাতিয়ে তুলে ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। তাদের পায়ের নূপুরের ছন্দ আর বাঁশির সুরে মুগ্ধ হাজার হাজার দর্শক। মানুষের পদভারে কানায় কানায় ভরে যায় পুরো মেলা প্রাঙ্গণ।

বৈসাবি উৎসবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী সাজে অংশগ্রহণ করেন। পুরান বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণ করতে মূলত এ বৈসাবি উৎসবটিকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে আয়োজন করা হয় বিজু-সাংগ্রাইং-বৈসুক-বিষু অর্থাৎ বৈসাবি মেলার উৎসব। এ মেলা চার দিনব্যাপী চলবে। বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দল নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর