শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

বেশিরভাগ ভবনেই আগুনের ঝুঁকি

রাজউকের অভিযান, গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো চার ভবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চলমান অভিযানের তৃতীয় দিনে গতকাল রাজধানীর বেশিরভাগ বহুতল ভবনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে সংস্থাটি। বেশিরভাগ ভবনেই  চোখে পড়েছে অপর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। এ ছাড়া ভবন নির্মাণে নকশার ব্যত্যয়, জরুরি বহির্গমন পথ না থাকা, আবাসিকের অনুমোদন নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যবহারসহ নানা বিচ্যুতি ধরা পড়েছে। অনিয়ম চিহ্নিত করে ভবন মালিকদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা শুধরে নিতে বলা হয়েছে। এদিকে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভবন নির্মাণ করায় ওয়ারি ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় চারটি ভবন গুঁড়িয়ে  দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুটি ভবনকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেছে রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, রাজউকের জোন-৪ এর আওতাধীন বনানীর বেশিরভাগ বহুতল ভবনে ত্রুটি পাওয়া গেছে। গতকালের অভিযানে আওয়াল টাওয়ার, ডেল্টা ডালিয়া টাওয়ার, ব্লু ওশান টাওয়ার ও ইকবাল সেন্টারের বিরুদ্ধে দুর্বল অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার প্রমাণ পেয়েছে রাজউক। ওই ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। রাজউক জোন-৪ এর পরিচালক মামুন মিয়া জানান, ডেল্টা ডালিয়া ও ব্লু ওশান টাওয়ার আবাসিক অনুমোদন নিয়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। ভবন দুটিতে ফায়ার এক্সিটসহ বিভিন্ন ত্রুটি পাওয়া গেছে। ইকবাল টাওয়ারের ১৮ তলার অনুমোদন থাকলে ভবনটি ২৩ তলা। ভবনটির বর্ধিত অংশ অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।রাজউকের জোন-২ এর কর্মকর্তারা উত্তরা এলাকায় পাঁচটি ভবন পরিদর্শন করে তিনটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ত্রুটি পেয়েছেন। এর মধ্যে আলাউদ্দিন টাওয়ার, এইচএম প্লাজা, নাটোর টাওয়ার অনেক আগে অনুমোদন নেওয়ায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ও গ্যারেজ রাখা হয়নি। অন্য দুটি ভবন সন্তোষজনক বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ওই জোনের অথরাইজড অফিসার মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, উত্তরা এলাকায় পরিচালিত অভিযানে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেছে। ১৯৯৬ সালের ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় অনুমোদন নেওয়ায় তিনটি ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সন্তোষজনক নয়। গ্যারেজও রাখা হয়নি। এদিন ধানমন্ডি ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ১৪টি ভবন পরিদর্শন করে রাজউক। ধানমন্ডি এলাকার ভবনগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ভালো হলেও আবাসিক ভবনে রেস্তরাঁসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পাওয়া গেছে। কামরাঙ্গীরচর এলাকার ভবনগুলোয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সন্তোষজনক নয় বলে জানান রাজউক কর্মকর্তারা।

গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো চার ভবন : রাজউকের অনুমোদন না নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করায় গতকাল ওয়ারীর টিকাটুলি রোডে একটি পাঁচতলা, সার্কুলার রোডে একটি দুইতলা ও যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জ রোডে দুটি দুইতলা বাড়ি ভেঙে ফেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তারের নেতৃতে পরিচালিত রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী ও ওয়ারী এলাকার দুটি ভবনকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সর্বশেষ খবর