বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
নদী বাঁচাও ৪৮

বেদখল গুড় নদী এখন ধানখেত

নাসিম উদ্দীন নাসিম, নাটোর

বেদখল গুড় নদী এখন ধানখেত

ভরা নদীতে অবৈধ সৌঁতিজাল আর শুকনো নদী যেন ধানখেত- এটাই এখন গুড় নদীর বাস্তব চিত্র। আত্রাই নদী থেকে নাটোরের সিংড়া উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া একসময়ের প্রবল স্্ন্ডেরাত আর গভীর জলরাশির গুড় নদী আজ তার নিজের স্বাভাবিক গতিপথ হারিয়ে মৃত নদীতে রূপ নিতে বসেছে। একদিকে বালি পড়ে গভীরতা কমতে শুরু করেছে, অন্যদিকে দুই পাড় দখলের কারণে দিন দিন ছোট হয়ে আসছে নদী। নদীর বেশির ভাগ অংশ শুকনো থাকায় তা দখল করে এটিকে ফসলের জমিতে রূপ দিচ্ছে অবৈধ দখলদাররা। নদীকে খন্ড খন্ডকরে ফসলি জমি ও পুকুরে পরিণত করায় একদিকে নষ্ট হচ্ছে নদীর স্বাভাবিক পরিবেশ, অন্যদিকে ওই সব অবৈধ ফসলি জমিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে তা পানিতে মিশে পোনা ও মা-মাছসহ নদীতে থাকা বিভিন্ন জলজ প্রাণীর ব্যাপক ক্ষতি করছে। সরেজমিন দেখা গেছে সিংড়া উপজেলার হাঁসপুকুরিয়া, খরসতি, সারদানগর, ভুলবাড়িয়াসহ গুড় নদীর অধিকাংশ ফসলি জমিতে পরিণত করার দৃশ্য। উপজেলার নুরপুর থেকে কালিনগর পর্যন্ত গুড় নদীর মোল্লারনা অংশও প্রভাবশালী দখলবাজদের দখলে। কেউ এটিকে ধানখেতে পরিণত করেছে, কেউবা আবার পুকুরে। সচেতন নাগরিক শরিফুল হাসান মৃধা বলেন, এভাবে দিনের পর দিন দখল করে ফেললে নদীর স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হবে। এভাবে একজনের দেখাদেখি অন্যজন নদী দখল করলে একসময় পুরো নদীটাই দখল হয়ে যাবে। তাই এখনই নদীকে দখলমুক্ত করা প্রয়োজন। আতাউর রহমান নামে আরেকজন বলেন, গুড় নদীর অধিকাংশ দখলবাজদের দখলে। কিন্তু এভাবে চলতে দিলে খুব অল্প সময়ে নদী আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রশাসনের উচিত প্রভাবশালীদের হাত থেকে নদী বাঁচানো। সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, ‘নদী রক্ষা কমিটির সভায় খনন ও দখলমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর