শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা

বেশির ভাগ বন্ধ ঠিকাদারি করছেন চিকিৎসক

ফরিদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

ফরিদপুরের স্বাস্থ্য বিভাগের ইউনিয়ন সাব সেন্টারগুলো থেকে সেবাবঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। সদর উপজেলায় যে কয়টি ইউনিয়ন সাব সেন্টার রয়েছে বেশির ভাগের স্বাস্থ্যসেবা নেই বললেই চলে। কয়েকটি সাব সেন্টার দিনের পর দিন বন্ধ থাকলেও তা দেখার কেউ নেই। এমনকি সাব সেন্টারগুলোতে যারা কর্মরত রয়েছেন তারা ঠিকমতো অফিসে না গিয়ে মাসের পর মাস বেতন তুলে নিচ্ছেন এমন অভিযোগও রয়েছে। সরকার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেন্টারগুলোকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিলেও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তা-ব্যক্তিদের নজরদারি না থাকায় মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলায় ৪০টি সাব সেন্টার রয়েছে। এ গুলোর মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটিতে সেবা মিললেও বাকি গুলোতে কোনো সেবাই পাচ্ছেন না স্থানীয় দরিদ্র মানুষ। অভিযোগ রয়েছে, সদরের বিল মাহমুদপুর ইউনিয়ন সাব সেন্টারের উপ-স্বাস্থ্য সহকারী ডা. অহিদুর রহমান (প্যারামেডিক্স) দিনের পর দিন কর্মস্থলে যাচ্ছেন না। তারপরও তিনি নিয়মিত বেতন তুলে নিচ্ছেন। প্রতিমাসে একবার গিয়ে খাতায় স্বাক্ষর করে বিল তুলছেন। তার বিরুদ্ধে ঠিকাদারি করার অভিযোগ রয়েছে। ফজল নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, তিনি এ সাব সেন্টারটিতে অহিদ নামের কোনো স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে কখনো দেখেননি। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি এসব কাজ করলেও তার ভয়ে কেউই মুখ খুলতে সাহস পায় না। কৈজুরী ইউনিয়নের মঙ্গলকোর্ট সাব সেন্টারটি বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এই সেন্টারের ভবনটি এখন প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এটি এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আক্কাস প্রামাণিক নামের এক ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে ভবনটির দরজা-জানালা ঠিক করে দিয়েছেন সম্প্রতি। বিভিন্ন ইউনিয়নে থাকা সাব সেন্টারগুলোর বিষয়ে সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। সদরের নর্থচ্যানেল, ডিক্রিরচর, কানাইপুর, মাচ্চর, চাঁদপুর, ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের সাব সেন্টারগুলোর অবস্থা শোচনীয়। এসব সেন্টারগুলোতে নামমাত্র চিকিৎসা সেবা পেলেও বেশির ভাগ দিনই সেন্টারগুলো বন্ধ থাকে। এসব সেন্টারের দায়িত্বে থাকা লোকজন ঠিকমতো বসেন না।

 ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু জাহের জানান, যারা নিয়মিত ইউনিয়ন সাব সেন্টারে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন না তাদের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। যারা সাব সেন্টারগুলোতে যাবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর