শিরোনাম
রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

চমকপ্রদ তথ্য হলফনামায়

শত্রুঘœ যোগ দিলেন কংগ্রেসে

নয়াদিল্লি ও কলকাতা প্রতিনিধি

চমকপ্রদ তথ্য হলফনামায়

১১ এপ্রিল ভারতে শুরু হচ্ছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্ব। এ পর্বে ভোট হবে ৯১টি কেন্দ্রে, ভাগ্য নির্ধারণ হবে ১ হাজার ২৭৯ জন প্রার্থীর।

এর মধ্যে ১ হাজার ২৬৬ জনের হলফনামা যাচাই করে তাদের অর্থনৈতিক ও বিভিন্ন অপরাধের মামলা সম্পর্কিত একটি তথ্য সামনে এনেছে নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে কাজ করা এনজিও অ্যাসোসিয়েশন ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)। তাদের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, বিজেপি ৮৩ প্রার্থীর মধ্যে ৩০ (৩৬ শতাংশ) ও কংগ্রেসের ৮৩ প্রার্থীর মধ্যে ৩৫ (৪২ শতাংশ) জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। কংগ্রেস প্রার্থীদের মধ্যে অভিযোগ আবার বেশি গুরুতর। ২৭ শতাংশ কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, যেখানে বিজেপির ১৯ শতাংশ প্রার্থী গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত। অন্যদিকে ওয়াইএসআর-কংগ্রেসের ৪০, টিআরএসের ১৮, বিএসপির ১৩ ও টিডিপির ৮ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। প্রথম দফায় গোটা দেশে ৯১ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৩৭টি কেন্দ্রে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যে যে কেন্দ্রগুলোয় তিনজন বা তার বেশি প্রার্থী গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত সেখানেই এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এডিআরের ওই রিপোর্টে আরও দেখা গেছে, এ পর্বে লড়াই করতে যাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বিত্তবান হলেন কংগ্রেসের এক প্রার্থী। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯৫ কোটি রুপি। তিনি লড়ছেন তামিলনাড়–র চেভেল্লা কেন্দ্র থেকে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ওয়াইএসআর-কংগ্রেসের প্রসাদ বীরা পোতলুরি, তার সম্পদের পরিমাণ ৩৪৭ কোটি রুপি। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া থেকে লড়ছেন পোতলুরি। প্রথম পর্বে নির্বাচনী লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে যাওয়া ১ হাজার ২২৬ প্রার্থীর মধ্যে ৫২৬ জনের বেশি (৪২ শতাংশ) প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি। ৬১৯ জনের (৪৯ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা তার বেশি।

শত্রুঘœ যোগ দিলেন কংগ্রেসে : বিজেপির সংসদ সদস্য বলিউড অভিনেতা শত্রুঘœ সিনহা গতকাল কংগ্রেস দলে যোগ দিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে তিনি বিহারের পাটনা সাহিব আসনেই কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল তাকে সমর্থন করছে। শত্রুঘœ বিজেপির প্রার্থী হিসেবে এই আসনেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। গতকাল দুপুরে আকবর রোডে কংগ্রেস অফিসে দলটির শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে তিনি যোগ দেন।

গত সপ্তাহে তিনি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। উল্লেখ্য, গতকাল ছিল বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস। শত্রুঘœ সিনহা বলেন, প্রায় দুই দশকের সম্পর্ক ছেড়ে আমি কংগ্রেসে শামিল হলাম। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে ইঙ্গিত করে শত্রুঘœ বলেন, ‘এখন বিজেপি হলো ‘ওয়ান ম্যান শো-এবং দুজনের পার্টি।’ বিহারে কংগ্রেস দল লালু প্রসাদের দলের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ছে। শত্রুঘœ বলেন, তিনি রাহুল গান্ধীকেই প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান। তার অভিযোগ, বিজেপির প্রবীণ নেতাদের এখন অপমান করা হচ্ছে। দলটিতে কোনো বাকস্বাধীনতা নেই। তাই তিনি দল ছাড়লেন।

সর্বশেষ খবর