মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন

মেয়র পদে পাঁচ কাউন্সিলর ৩৩০ মনোনয়ন জমা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন গতকাল উৎসবমুখর পরিবেশে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ইকরামুল হক টিটু এবং জাতীয় পার্টি থেকে জাহাঙ্গীর আহমেদসহ পাঁচ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও জাপা প্রার্থীর সঙ্গে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৩ ওয়ার্ডের  বিপরীতে ৭১ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুসা সরকার, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য স্বপন মন্ডল ও নির্দলীয় ড. বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী। ময়মনসিংহের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘৫ মে নির্বাচনে ১২৭টি কেন্দ্রেই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকব।’ বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু রিটার্নিং কর্মকর্তা আলীমুজ্জামানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হক খোকা, সহসভাপতি আমিনুল হক শামীম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল প্রমুখ। মনোনয়নপত্র জমা শেষে সাংবাদিকদের নৌকার প্রার্থী টিটু বলেন, ‘বিগত ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আবারও সিটি করপোরেশনের টিকিট দিয়েছেন। জনগণের ভোটের রায়ে আমি মেয়র হতে পারলে এই নগরীকে মডেল নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। ইনশা আল্লাহ এই নগরীর ভোটাররা নৌকাকে জয়যুক্ত করবেন।’ অন্যদিকে মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আহমেদকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দিলেও দুপুরের পর আরও দুই প্রার্থী দলের বিদ্রোহী হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এরা হচ্ছেন জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুসা সরকার ও জেলা কমিটির সদস্য স্বপন মন্ডল।

তারাও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা-কর্মী নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ যদি প্রার্থী হন তাহলে জনসাধারণের মধ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না জানিয়ে জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেন, ‘দল আমার ওপর আস্থা রেখে মনোনয়ন দিয়েছে। আমি নির্বাচিত হতে পারলে জলাবদ্ধতা, সড়কের উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দেব। আর সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকবে।’ অন্যদিকে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী মুসা সরকার বলেন, ‘দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। কিন্তু যে-কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন। আমিও হয়েছি। আমি জাতীয় পার্টির তৃণমূল থেকে জেলার শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সিদ্ধান্তেই প্রার্থী হয়েছি।’ জেলা রিটার্নিং কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই এবং ১৭ এপ্রিল প্রত্যাহারের শেষ সময়। আগের ২১টি ও বর্তমানে আরও ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত দেশের দ্বাদশ এই সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ২ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫৫ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৮০ জন।

সর্বশেষ খবর