মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
চকবাজারের আগুন

ওয়াহিদ ম্যানশনের দুই মালিক সাত দিনের রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডের মামলায় ওয়াহিদ ম্যানশনের দুই মালিক হাসান ও সোহেল ওরফে শহীদকে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক মু. মোরাদুল ইসলাম আসমিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। এ সময় আসামিদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ভবনটি মূলত আবাসিক। কিন্তু আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিকভাবে গুদাম হিসেবে ব্যবহার করলে প্রাণহানি হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। বিষয়টি জানার পরও আসামিরা ওই ভবনটিকে গুদাম হিসেবে ভাড়া দেন। গুদাম হিসেবে ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে অসাবধানতা ও আইন পরিপন্থী কাজ করেন আসামিরা। এ কারণে আগুনে পুড়ে ৭০ জন মারা গেছেন। আরও বহু লোক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন যানবাহন পুড়ে গেছে, যার দায় মালিকপক্ষ ও ভাড়াটেরা এড়াতে পারেন না।

 আগুনের ঘটনাস্থল ৬৪ নম্বর নন্দকুমার দত্ত রোড হাজী ওয়াহিদ ম্যানশনের নাম-ঠিকানাসহ চুক্তির কপি সংগ্রহ করা এখনো সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া এ আগুনে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অন্তর্ঘাত বা স্যাবোটাজমূলক কোনো ঘটনা ঘটিয়ে বিপুলসংখ্যক লোকের প্রাণহানিসহ সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি করেছে কি না এবং বর্তমান সরকারকে কোনো অপ্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফেলার অপচেষ্টায় লিপ্ত কি না, তা জানতে বাড়ির দুই মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন। এ ছাড়া ওই ভবনের গোডাউন কোন কোন লোকের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে নাম-ঠিকানা এবং ঘটনার মূল রহস্য উদ্্ঘাটন করার জন্য আসামিদের ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার ওয়াহিদ ম্যানশন ও আশপাশের ভবনে আগুন লেগে ৭০ জন মারা যান। বহু লোক আহত হন। এ ঘটনায় আগুনে পুড়ে নিহত জুম্মনের ছেলে আসিফ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ২১ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন। মামলায় ওয়াহিদ ম্যানশনের মালিক আবদুল ওয়াহিদের ছেলে হাসান ও সোহেলের নাম উল্লেখ করেন বাদী। অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়। মামলার আসামি সোহেল ও হাসান উচ্চ আদালত থেকে ১৩ মার্চ জামিন পান। উচ্চ আদালত তিন সপ্তাহের জামিন দিয়ে আসামিদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন। পরে আসামিরা বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

সর্বশেষ খবর