খনন বা সংস্কার করার কোনো উদ্যোগ না থাকায় এককালের প্রমত্তা পাগলা নদী মরা খালে পরিণত হয়েছে। নদীর দুই ধারে চাষাবাদ করছেন কৃষকরা। জানা গেছে, ভারত থেকে বয়ে আসা পাগলা নদী বাংলাদেশে ঢুকেছে জেলার শিবগঞ্জের মিলিক-সুলতানপুর দিয়ে। এই নদী ৪১ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে মিলেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আরেক নদী মহানন্দায়। কিন্তু উজানে ভারতীয় অংশে বাঁধ দেওয়ার কারণে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় এই নদীর। এ নিয়ে স্থানীয়রাও উদ্বিগ্ন। ৪১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই পাগলা নদীতে একসময় গভীরতা ছিল, আর পানিও থাকত সারা বছর। মালবোঝাই বড় বড় নৌকা আসত এই নদীতে। আর নদীর প্রবল স্রোতে নৌকাডুবির ঘটনাও ঘটত। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে পলি জমে এখন নদীটি মৃতপ্রায়। নদীটি শুকিয়ে যাওয়ায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহকারীরাও পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। অনেকেই তাদের পেশা পরিবর্তন করেছেন। এদিকে পারিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্য নেচারের সমন্বয়কারী রবিউল হাসান ডলার বলেন, নদীটি শুকিয়ে যাওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে জীববৈচিত্র্যে। পাশাপাশি মরুকরণের কবলে পড়ছে এ অঞ্চল। তবে আশার কথা শোনালেন স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলাম। তিনি জানান, এরই মধ্যে পাগলা নদী খননের জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প দাখিল করেছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পটি অনুমোদনের পর বাস্তবায়িত হলে পাগলা নদীতে পানি থাকবে সারা বছর। ফলে মাছ চাষসহ কৃষিজমিতে সেচসুবিধাও পাওয়া যাবে।