শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার কমলের

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে স্বামী কমল হোসেন। স্ত্রী হাসি বেগমের সঙ্গে প্রথম স্বামীর যোগাযোগ এবং দুবাই  যাওয়ার চেষ্টা- সেই ক্ষোভ থেকেই স্বামী কমল তার স্ত্রী হাসিকে হত্যার পরিকল্পনা করে। উল্লেখ্য, হাসি ও কমলের উভয়েরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুগদা থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মাসুদুর রহমান আসামির স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন। আবেদনের  প্রেক্ষিতে বিচারক মো. মিল্লাত হোসেন জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত বুধবার রাজধানীর দক্ষিণ মুগদার ব্যাংক কলোনির ১/৩৯ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া বাসায় স্ত্রী হাসি বেগমকে কমল হোসেন গলা টিপে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে এ হত্যাকান্ডে র আলামত মুছে ফেলতে লাশে আগুন ধরিয়ে দেন কমল। এ ঘটনায় হাসির বাবা মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, হাসি ও কমল দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। হাসির প্রথম ঘরে শিশির নামে ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ে করার সময় শিশিরকে তাদের ঘরে রাখার কথা ছিল। কিন্তু বিয়ের পর শিশির থাকা না থাকা নিয়ে প্রায়ই তাদের দাম্পত্য কলহ হতো। হাসি তার প্রথম স্বামী সুজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। এই দুটি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই দাম্পত্য কলহ হতো। এসব ঘটনার জের ধরে গত মঙ্গলবার হাসির প্রথম ঘরের সন্তান শিশিরকে শরীয়তপুরে তার বাবার বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া সম্প্রতি দুবাই যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন হাসি। বুধবার ভোরে এ নিয়েই তাদের মধ্যে কলহ হয়। এরপরই কমল গলা টিপে হাসিকে হত্যা করে।

পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে রান্নাঘর থেকে ম্যাচ এনে হাসির পরনে সালোয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার দুই পা পুড়ে যায়। এছাড়া পরনের কামিজে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তিনি পাশের কক্ষে থাকা হাসির বাবা শেখ আলতাফ ঢালী ও বড় বোন আলপনা আক্তারকে বলেন যে, হাসি শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

সর্বশেষ খবর