শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

চরফ্যাশনে খাঁচায় মাছ চাষ

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

চরফ্যাশনে খাঁচায় মাছ চাষ

পুকুর ভরাট, নালা ভরাট, জলাশয় কমে গেলেও উপকূলীয় এলাকায় নদী-খালগুলোতে খাঁচায় মাছ চাষে ঝুঁকছেন এক শ্রেণির জেলে। বছরজুড়ে বিশেষ এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। খাঁচায় মাছ চাষ করে ক্রমাগতভাবে লাভবান হওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই পেশা। যে কোনো উন্মুক্ত জলাশয়ে স্বল্পব্যয়ে ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে মাছ চাষ করে বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে এ পদ্ধতিতে দ্রুত আগ্রহ বাড়ছে উদ্যোক্তাদের। চরফ্যাশন উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সেলিম নদীর সঙ্গে সংযুক্ত খালে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন। খাঁচায় মাছ চাষের আদর্শ ক্ষেত্রই হচ্ছে নদীনালা, খালবিলসহ উন্মুক্ত জলাশয়। যেখানে স্রোতের সঙ্গে আসা বাড়তি খাবারগুলো মাছ খেয়ে থাকে। মশারির মতো জাল প্রবাহমান পানিতে ডুবিয়ে চারকোনা বেঁধে তাতে র্২র্ -র্৩র্  সাইজের পোনা ছেড়ে ৪ মাস লালন-পালন করলে পুকুরের তুলনায় উৎপাদন ২০ গুণ বেশি পাওয়া যায় বলে জানান মৎস্য চাষি মো. সেলিম। তিনি জানান, পুকুর বদ্ধ হওয়ায় জৈব খাবারের পরিমাণ কম থাকে। কিন্তু নদীর স্রোতে জৈব খাবার উৎপাদনের সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি যা মাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। তাই জালের খাঁচায় মাছ চাষ অত্যন্ত সুবিধাজনক ও লাভজনক পদ্ধতি হওয়ায় তিনি এই কাজটি বেছে নিয়েছেন। এখানে তেলাপিয়া, পাঙ্গাশ, গলদা চিংড়ি চাষ করে থাকেন। প্রথমে ১০টি খাঁচা দিয়ে শুরু করে বর্তমানে তার ৩০টি মাছের খাঁচা রয়েছে। খুব অল্প সময়ে বিক্রির উপযোগী হয় এসব মাছ। স্বাদ সম্পূর্ণ ভিন্ন হওয়ায় বাজারে চাহিদাও প্রচুর। এ ব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. মারুফ হোসেন মিনার বলেন, নতুন এই মাছ চাষের পদ্ধতি আমিষের ঘাটতি পূরণসহ বেকার সমস্যা সমাধান সম্ভব।  সরকারিভাবে ২০১৫ সালে প্রথমে ১০টি খাঁচা ও মাছ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এখন বর্তমানে তার ৩০টি খাঁচা রয়েছে। এই খাঁচায় দৈনিক ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার টাকার ওপরে। তবে বিক্রি ক্ষেত্রে অধিক হারে লাভবান হওয়া যায়। তাই উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় এই পদ্ধতিটি বাড়িয়ে তোলার আশা ব্যক্ত করে চরফ্যাশন মৎস্য বিভাগ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর